তুর্কি ‘আইএস’ নারীর মৃত্যুদণ্ড – DW – 26.02.2018
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুর্কি ‘আইএস’ নারীর মৃত্যুদণ্ড

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখেই এই রায় দিলো ইরাকে দ্রুত বিচার আদালত৷ তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট'-এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ঐ নারীদের বিরুদ্ধে৷ 

https://p.dw.com/p/2tLp1
ছবি: Getty Images/AFP/S. Hamed

তবে ঐ নারীরা এক মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন৷ রোববার ১৬ জন তুর্কি নারীর বিরুদ্ধে রায় দেয় আদালত৷ গত বছর ইরাকে আইএস-কে প্রায় নির্মূল করার পর শত শত বিদেশি নারীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বাগদাদ৷ এসব নারীরর বয়স ২০ থেকে ৫০-এর মধ্যে৷ অনেকের সঙ্গে শিশুও আছে৷

যখন ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস খুবই জোরালো অবস্থান তৈরি করে ফেলেছিল, তখন এই নারীরা তাদের স্বামীদের সঙ্গে মিলিত হবার জন্য অবৈধভাবে ইরাক ও সিরিয়ায় ঢোকেন৷ আদালতে এক নারী স্বীকার করেছেন যে, তিনিও সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন৷

মোসুল ও অন্যান্য এলাকা আইএসমুক্ত করার পর ইরাক তড়িঘড়ি করে ৫৬০ জন নারী ও ৬০০ শিশুকে আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিচার শুরু করে ইরাক৷ গত জানুয়ারিতে এক জার্মান নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷ আর গেল সপ্তাহে ১৭ বছর বয়সি এক জার্মান তরুণীকে ৬ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ ঐ তরুণী এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন৷

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই সাজা দেয়াকে ‘অন্যায্য’ বলছে৷ কোনো কোনো মানবাধিকার কর্মী দাবি করছেন যে, এই নারীদের অনেকেই পরিস্থিতির শিকার৷ তাদের ভুল বুঝিয়ে আইএস-এ যুক্ত করা হয়েছিল৷

গত আগস্টে এদের বাইরেও আরো প্রায় ১ হাজার ৩শ নারী ও শিশু ইরাকি কুর্দিস্তানের সেনাদের হাতে ধরা দেয়৷ কর্তৃপক্ষ কিছু না বললেও ধারণা করা হয় যে, আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ইরাকে প্রায় ২০ হাজার জন আটক আছেন৷

জেডএ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)