লিবিয়ায় মিশরীয় বিমান হানা – DW – 16.02.2015
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় মিশরীয় বিমান হানা

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

২১ জন কপ্টিক খ্রিষ্টানের শিরশ্ছেদের দৃশ্য ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয় রবিবার৷ দৃশ্যত এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে লিবিয়ায়৷ প্রতিশোধ হিসেবে মিশরি জঙ্গিবিমান লিবিয়ায় আক্রমণ চালিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1EcJ3
Ägypten Reaktion auf Ermordung koptischer Christen durch IS
ছবি: imago/Xinhua

মিশরীয় বিমান বিভিন্ন ‘দায়েশ' – আর্বি ভাষায় ইসলামিক স্টেটের আদ্যক্ষর – শিবিরের উপর হানা দেয়৷ দৃশ্যত এগুলি প্রশিক্ষণ শিবির এবং সেই সঙ্গে অস্ত্রভাণ্ডারও বটে৷ মিশরের সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, কপটিক খ্রিষ্টানদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এই আক্রমণ চালানো হয়েছে৷

সোমবারের এই বিবৃতি গুরুত্বপূর্ণ, কেননা মিশর লিবিয়ায় সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা এই প্রথম প্রকাশ্যভাবে স্বীকার করল৷ গতবছর মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী লিবিয়ায় এক পর্যায় রহস্যময় বিমান হানায় অংশ নেয়, বলে মার্কিন কর্মকর্তারা সে'সময় জানিয়েছিলেন৷

Symbolbild Islamischer Staat
ইসলামিক স্টেট এখন শুধু রাকাতেই নয়..ছবি: picture-alliance/AP Photo

লিবিয়ার জঙ্গিরা গত ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে মোট ২১ জন বহিরাগত শ্রমিককে সির্তে শহর থেকে অপহরণ করে৷ এরা ছিলেন মিশর থেকে আগত কপ্টিক খ্রিষ্টান৷ তাদের শিরশ্ছেদের যে দৃশ্য এবার ইন্টারনেটে দেখানো হয়েছে, তা থেকে প্রমাণ হয় যে, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের একটি প্রশাখা ইটালির দক্ষিণতম প্রান্ত থেকে মাত্র ৮০০ কিলোমিটার দূরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ এমনকি ঐ ভিডিও-তে একজন জঙ্গিকে বলতে শোনা গেছে যে, তারা এবার ‘‘রোম জয়'' করার পরিকল্পনা করছে৷

সিরিয়া এবং ইরাকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এখন ইসলামিক স্টেটের দখলে৷ তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার বাইরে এ ধরনের শিরশ্ছেদের ঘটনা এই প্রথম৷ এবং সেই শিরশ্ছেদের ভিডিও ছবি তোলা হয়েছে সর্বাধুনিক সরঞ্জাম এবং উচ্চমানের প্রক্রিয়া ব্যবহার করে৷

কপ্টিক খ্রিষ্টানদের হত্যাকাণ্ডের জন্য সাতদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন কায়রো সরকার৷ সেই সঙ্গে মিশরীয়দের লিবিয়া যাত্রা আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসি রবিবার সন্ধ্যায় জাতির প্রতি ভাষণে বলেছেন: ‘‘মিশর তথা সারা বিশ্ব আজ বিভিন্ন চরমপন্থি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তীব্র যুদ্ধে লিপ্ত৷ এ সব জঙ্গি গোষ্ঠীর মতাদর্শ এবং লক্ষ্য একই৷''

আল-সিসি টেলিফোনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং উভয় নেতা বিষয়টি পুনরায় বিশ্বনিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ বিষয় বলতে: লিবিয়ায় ইসলামিক স্টেটের কার্যকলাপ ও সম্প্রসারণ, যা রেখার পন্থা বিবেচনা করা প্রয়োজন৷ প্রসঙ্গত, ফ্রান্স মিশরকে ২৪টি রাফাল জঙ্গিজেট বিক্রয় করতে চলেছে৷ এই সর্বাধুনিক জঙ্গি বিমান এই প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রকে বিক্রয় করা হচ্ছে৷

এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য