মুন্সিগঞ্জে লঞ্চডুবি – DW – 13.03.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুন্সিগঞ্জে লঞ্চডুবি

১৩ মার্চ ২০১২

মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ শরিয়তপুর-১ নামের লঞ্চটি সোমবার রাতে দুর্ঘটনায় পড়ে৷ জেলা প্রশাসক আজিজুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে এ তথ্য দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/14JzU
ছবি: AP

মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মোট ৩৬টি লাশ উদ্ধার করেন৷ এরপর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়৷ উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা রাত ১টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বুধবার ভোরে আবার শুরু হয় উদ্ধার অভিযান৷

এই ঘটনায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ এবং সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর তিনটি কমিটি করেছে৷

এর আগে বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সোমবার রাতে লঞ্চটি ডুবে যায়৷ এসময় লঞ্চে তিন শতাধিক যাত্রী ছিল৷ বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে জানান, তাদের উদ্ধার তৎপরতা শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, কার্গো জাহাজ রাতে চলাচল নিষিদ্ধ করার পরও তাদের চলাচল বন্ধ হয়নি৷ আর কার্গো জাহাজে রাতে চলাচলের কারণেই নৌ দুর্ঘটনা বাড়ছে৷

তিনি বলেন, এর বাইরে অদক্ষ চালকও এই নৌ দুর্ঘটনার কারণ অনেক মালিকই বিআইডব্লিউ'র অনুমোদিত পাইলট নিয়োগ দেন না৷ এছাড়া ফিটনেস বিহীন লঞ্চও দুর্ঘটনায় পড়ে বলে জানান তিনি৷

এদিকে এখনো অনেক মানুষ মেঘনার তীরে তাদের স্বজনদের লাশের অপেক্ষায় আহাজারি করছেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা / জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য