সিরিয়ায় সংলাপ চাই – DW – 16.02.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় সংলাপ চাই

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২

সিরিয়া সংকটের প্রশ্নে ভারত বলেছে, একসূত্রীয় সমাধান সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়৷ দরকার সংলাপ ও বোঝাপড়া৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা নতুনদিল্লিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় একথা বলেন৷

https://p.dw.com/p/14498
ছবি: picture-alliance/dpa

সিরিয়ার নেতৃত্বাধীন সমঝোতা প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা বলেন, মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানের পথ হলো সংলাপ৷ পশ্চিম এশিয়ার শান্তি ও সুস্থিতির সঙ্গে ভারতের স্বার্থ জড়িত৷ প্রায় ৬০ লাখ ভারতীয়ের জীবন ও জীবিকার প্রশ্ন এটা৷ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রধান আব্দুল আজিজ-আল-নাসের'এর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি ভারতের এই অবস্থানের কথা তুলে ধরে বলেন, সিরিয়া সংকটের একসূত্রীয় সমাধান হতে পারেনা৷ সেটা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়৷

নাসের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণে আন্ত:সরকার আলোচনাকারী কমিটির নেতৃত্ব করছেন৷স্বভাবতই নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার নিয়েও আলোচনা হয়৷ ভারত বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য৷ স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারত উঠেপড়ে লেগেছে৷ আল-নাসের আজ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ সিরিয়া সংকট নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পৃথকভাবে আলোচনা করেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে৷

Indien Außenminister SM Krishna
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণাছবি: AP

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ডিভিশনের সচিব সঞ্জয় সিং বলেন, আরব বিশ্বের সঙ্গে ভারতের বিশেষ সম্পর্ক আছে৷ঐ অঞ্চলের পরিস্থিতির দিকে ভারত নজর রাখছে৷ সংকট মোচনে বিদেশি শক্তির চাপ সৃষ্টির বিষয়ে সতর্ক কোরে দিয়ে তিনি বলেন, জাতিসংঘ এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলির ভূমিকা অনস্বীকার্য৷ পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে যেসব দেশ দাঁড়িয়ে ভারত তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত৷

এমাসের প্রথমদিকে সিরিয়ায় আন্দোলনকারীদের ওপর দমনপীড়নের নিন্দা করে ভারত বলেছে, সিরিয়ায় নেতৃত্ব বদল হবে গণতান্ত্রিক পথে৷

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের নতুন প্রস্তাবে নাগরিকদের ওপর নৃশংসতা বন্ধ করতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার-অল-আসাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়৷ নতুন প্রস্তাবে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থার কথা বলা হয়৷ উল্লেখ্য, শাসক দল বাথ পার্টি বহু বছর ধরে একচেটিয়াভাবে একদলীয় শাসন চালিয়ে এসেছে৷ জাতিসংঘের প্রস্তাব গৃহীত হলে সিরিয়ায় বহু-দলীয় শাসন ব্যবস্থার পথ সুগম হবে৷

নতুন সংবিধানের জন্য সিরিয়ায় গণভোট নেয়া হবে এমাসের ২৬ তারিখে৷ তার ৯০ দিন পর হবে নির্বাচন৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা:

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য