আফ্রিকার সঙ্গেও বাণিজ্য বাড়াতে চায় ব্রিটেন – DW – 20.01.2020
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফ্রিকার সঙ্গেও বাণিজ্য বাড়াতে চায় ব্রিটেন

২০ জানুয়ারি ২০২০

ব্রেক্সিটের দুই সপ্তাহ আগে লন্ডনে আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো উদ্যোগ নিচ্ছে৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইইউ-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পর্কে বোঝাপড়ার বিষয় সংশয় বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3WSWf
Großbritanien | Boris Johnson
ছবি: Getty Images/AFP/B. Stansall

ব্রেক্সিট কার্যকর হতে আর প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি৷ এই বিচ্ছেদের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক স্থির করার ক্ষেত্রেও বিলম্ব চান না ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ চলতি বছরেই সেই লক্ষ্য পূরণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে ব্রিটেনের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বদ্ধপরিকর তিনি৷ সেই উদ্যোগের আওতায় আফ্রিকা মহাদেশের দিকে নজর দিচ্ছেন জনসন৷ সোমবার লন্ডনে আফ্রিকার ২১টি দেশের এক সম্মেলনে তিনি সেই সব দেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বাড়ানোর অঙ্গীকার করতে চলেছেন৷

সম্মেলনের প্রাক্কালে ব্রিটেনের উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী অলোক শর্মা মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে আফ্রিকার ১৫টি দেশই বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দাবিদার৷ সেইসঙ্গে ২০৫০ সালের মধ্যে আফ্রিকার জনসংখ্যা দ্বিগুণ হতে চলেছে৷ ফলে এই মহাদেশে বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে৷ তিনি অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, পরিবেশ সংরক্ষণের খাতিরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আর কোনো সহায়তা করা হবে না৷

আফ্রিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্রিটেন ইইউ-র সঙ্গে সম্পর্ক যতটা সম্ভব শিথিল করতে চাইছে, যাতে ইউরোপীয় বিধিনিয়ম সেই পথে অন্তরায় না হয়ে ওঠে৷ ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে ইইউ-র সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা হবে না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ক্যানাডার বাণিজ্য চুক্তির আদলেই এমন বোঝাপড়া চান বরিস জনসন৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নও ব্রেক্সিট ও ব্রিটেনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে বোঝাপড়ার তোড়জোড় করছে৷ তবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতার বিষয়ে ইইউ তেমন আশাবাদী নয়৷ বিভিন্ন ইইউ সূত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে৷ ২৫শে ফেব্রুয়ারি ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই লক্ষ্যে ছাড়পত্র দেবার কথা৷ সে ক্ষেত্রে মার্চ মাসে আলোচনা শুরু করে অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে, যাতে ডিসেম্বরের মধ্যেই আইনি প্রস্তুতি শেষ হয়ে যায়৷ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির কাঠামোর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রেও বোঝাপড়ার লক্ষ্যও স্থির করা হয়েছে৷ আলোচনা ব্যর্থ হলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না৷

ব্রিটেন ইইউ-র বিধিনিয়ম আর না মানলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্কসহ নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বিশেষ করে আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসের মতো ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সহযোগীদের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হলে ব্রিটেনকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে পারে৷ দূরের দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করে সেই ঘাটতি পূরণ করা সহজ হবে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য