ব্রিটেনকে বিদায় জানাচ্ছে ইউরোপ – DW – 30.01.2020
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনকে বিদায় জানাচ্ছে ইউরোপ

৩০ জানুয়ারি ২০২০

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বুধবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করলো৷ শুক্রবার রাতে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ত্যাগ করতে চলেছে৷ এবার ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার পালা

https://p.dw.com/p/3X0OK
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডাভিড সাসোলি
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

আর মাত্র একটি দিন৷ প্রায় ৪৭ বছর সদস্য থাকার পর শুক্রবার মধ্যরাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবে ব্রিটেন৷ তার আগে বুধবার সেই লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলো৷ ব্রিটেনের সংসদের দুই কক্ষের পর এবার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করলো৷ ৬২১ জন সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে, ৪৯ জন বিপক্ষে ভোট দিলেন৷ এবার শুধু বাকি ইইউ সদস্য দেশগুলিকে এক লিখিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই চুক্তি অনুমোদন করতে হবে৷ তবে সেই পথে বাধার কোনো আশঙ্কা নেই৷ আগামী কয়েক দিনে ব্রাসেলসে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে৷

এই প্রথম কোনো সদস্য দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করছে৷ তাই বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি কিছু আবেগঘন মুহূর্ত দেখা গেল৷ ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন, ‘‘আমরা চিরকাল তোমাদের ভালবাসবো এবং কখনোই দূরে থাকবো না৷'' পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট সংক্রান্ত সমন্বয়ক গি ফ্যারহোফস্টাট সদস্যদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবার আবেদন করেও বলেন, ‘‘আমরা তোমাদের অভাব বোধ করবো৷ তবে এই ভোটের মাধ্যমে চিরবিদায় জানানো হচ্ছে না৷ বরং আশা প্রকাশ করা হচ্ছে যে আবার দেখা হবে৷'' ব্রিটেন কোনো একদিন আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফিরে আসবে বলে আরও কিছু সদস্য আশা প্রকাশ করেন৷

তবে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট পার্টির প্রধান নাইজেল ফারাজ বলেন, একবার ত্যাগ করার পর ব্রিটেন কোনোদিন আর এই রাষ্ট্রজোটে ফিরে আসবে না৷ উল্লেখ্য, ব্রেক্সিটের লক্ষ্যে প্রায় দুই দশকের প্রচেষ্টার পর ফারাজ অবশেষে সাফল্য পাচ্ছেন৷

ব্রেক্সিট সত্ত্বেও বর্তমান পরিকল্পনা অনুযাযী ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কে তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না৷ এই অন্তর্বর্তীকালীন পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবে৷ ব্রিটেন ঠিক সময়ে বাণিজ্য চুক্তির আশা করলেও ইইউ নেতারা এত কম সময়ে চূড়ান্ত বোঝাপড়া সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করছেন৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, ইইউ চাপের মুখে তড়িঘড়ি করে কিছু একটা করবে না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ স্থির করে তা রক্ষা করাই জরুরি৷ উল্লেখ্য, ইইউ ব্রিটেনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যে একমাত্র ইইউ মানদণ্ড ও বিধিনিয়ম মেনে চললে তবেই ইউরোপের অভ্যন্তরীণ বাজারে অবাধ প্রবেশের অধিকার অটুট থাকবে৷

অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যে কোনো মূল্যে চলতি বছরের শেষেই সম্পর্ক ত্যাগ করতে বদ্ধপরিকর৷ এমনকি ‘দ্য টেলিগ্রাফ' সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী, ব্রেক্সিটের পর সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ মেনে নিতেও তিনি প্রস্তুত৷ আগামী সপ্তাহে এক ভাষণে তিনি বাণিজ্যের তুলনায় ব্রিটেনের সার্বভৌমত্বের গুরুত্বকে প্রাধান্য দেবেন বলে সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এপি, রয়টার্স)