ব্রাদারহুডের উল্লাস, মিশরের মেয়েদের শঙ্কা – DW – 17.12.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাদারহুডের উল্লাস, মিশরের মেয়েদের শঙ্কা

১৭ ডিসেম্বর ২০১২

মিশরে নতুন সংবিধানের খসড়া চূড়ান্ত করতে প্রথম পর্বের গণভোট শেষ৷ সেখানে জয় পেয়ে ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুড উল্লসিত৷ কিন্তু এ উল্লাসের পাশেই রয়েছে সে দেশের মেয়েদের জন্য আশ্ঙ্কা৷ ভোটের দিনও দেখা গেছে সে রকম ইঙ্গিত৷

https://p.dw.com/p/173j8
ছবি: REUTERS

প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড বিরোধীদলগুলোর আপত্তি অগ্রাহ্য করেই গণভোট আয়োজন করেছে মিশরে৷ গণভোটের প্রথম পর্বে সংবিধানের খসড়া ৫৬ দশমিক ৫ ভাগ ‘হ্যাঁ' ভোট পাওয়ায় ক্ষমতাসীন দল খুশি, কারণ, এর ফলে নতুন সংবিধান চূড়ান্ত করা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেল৷

প্রথম পর্বে যেসব এলাকায় ভোট হয়েছে সেখানে বিরোধী দলগুলোর তবু্ কিছুটা আশা ছিল, কিন্তু আগামী মঙ্গলবার যেসব এলাকায় ভোট হবে সেখানে মুসলিম ব্রাদারহুডের একচ্ছত্র আধিপত্য৷ সুতরাং মুসলিম ব্রাদারহুড যা চাইছে তা যে হতে চলেছে তা ধরেই নেয়া যায়৷ বিরোধী দলগুলো গণভোটের পরের পর্ব অনুষ্ঠানের দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার, সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে৷ পাশাপাশি যথারীতি যে কোনো রকমের বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা এসেছে মুরসি সরকারের তরফ থেকে৷ তাই মিশরে সংঘাত চলবে এ নিয়ে সংশয় প্রকাশের সময় এখনো আসেনি৷

বড় সংশয় অন্য দুটো বিষয়ে৷ সংখ্যালঘু এবং নারীদের প্রতি নতুন সংবিধান মোটেই উদার নয় – এ অভিযোগ শোনা যাচ্ছে আগে থেকেই৷ শনিবার গণভোটের সময় নারীর প্রতি বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এখন কেমন এবং ভবিষ্যতে কী হতে পারে তার কিছুটা ধারনা পাওয়া গেছে৷

Wahlen Ägypten Verfassung
সংখ্যালঘু এবং নারীদের প্রতি উদার নয় নতুন সংবিধান!ছবি: AP

আলেকজান্দ্রিয়ায় ১৫'শ নারী মিছিল করেছেন৷ ভোট দিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু বোরকা পরেননি বলে সে সুযোগ দেয়া হয়নি কাউকে৷ এর প্রতিবাদেই মিছিল এবং সেখানে নারীদের স্লোগান ছিল, ‘‘মুসলিম ব্রাদারহুড সরকারের পতন হোক৷''

নারীবাদীদের অভিযোগ, নতুন সংবিধানে নারীর অধিকার একেবারেই গুরুত্ব পায়নি৷ অথচ মুরসি সরকার বলছে, এ সংবিধান গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে খুব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ৷ কিন্তু যেখানে নারী অবহেলিত থাকবে সেটা আবার কেমন গণতন্ত্র? গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূত নভি পিল্লাই এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ নারী অধিকার খর্ব করে এমন সব আইন নিয়ে কাজ করার একটা সংস্থা রয়েছে জাতিসংঘের৷ সেই সংস্থার প্রধান কমলা চন্দ্রকিরণ৷ তিনি মনে করেন, গণতন্ত্রে উত্তরণ নারী অধিকার সুনিশ্চিত করার বড় একটা সুযোগ৷ কিন্তু মিশরে সেটা না হবার আশঙ্কা বেশি দেখে আগে থেকেই তিনি চিন্তিত৷ শুক্রবার সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের কমিটিতে যে নারীদের প্রতিনিধিত্ব ছিল না সে বিষয়টি নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘খসড়া প্রণয়নের কমিটিতে তেমন কোনো নারী প্রতিনিধিত্ব ছিল না জেনে আমরা খুব চিন্তিত৷ বর্তমান সংবিধানে নারী অধিকার গুরুত্ব পায়নি৷''

এসিবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য