বিনিদ্র রজনী – DW – 19.10.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিনিদ্র রজনী

১৯ অক্টোবর ২০১২

সারা রাত জেগে থাকে বলে আলাদা সুনাম আছে কায়রোর৷ কিন্তু সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে রাত গভীর হওয়ার অনেক আগেই আঁধার নামবে সেখানে৷ এ নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় মিশরের জনগণ৷

https://p.dw.com/p/16THN
ছবি: AP

গত বছর অন্যরকম এক স্বীকৃতি পেয়েছে মিশরের রাজধানী কায়রো৷ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ‘বাডো' এ নগরীর নাম দিয়েছিল ‘মোস্ট টোয়েন্টিফোর আওয়ার সিটি'৷ এমনি এমনি দেয়নি এ নাম৷ বিশ্বের আর সব শহরের চেয়ে কায়রোই যে পুরো বছরে সবচেয়ে বেশি রাত জেগেছিল!

কায়রো নগরী সারারাত জাগে৷ দোকান-পাট, হোটেল – সবই খোলা থাকে সারারাত৷ কিন্তু আর বেশি দিন নয়৷ এ মাসের শেষের দিকেই সরকারের তরফ থেকে আসতে পারে নতুন ঘোষণা, বলা হতে পারে, আজ থেকে দেশের সব দোকানপাট রাত দশটায় আর হোটেল-রেস্তোরাঁ মাঝরাতে বন্ধ করতে হবে৷ সরকার এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মূলত বিদ্যুতের খরচ কমাতে৷ কিন্তু এমন পরিকল্পনার কথা প্রচার মাধ্যমে আসামাত্রই শুরু হয়েছে বিরূপ সমালোচনা৷  রাত গভীর হওয়ার আগে সরকারের ঠিক করে দেয়া নিয়ম মেনে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হবেন – এটা মানতেই পারছেন না অনেকে৷

আপত্তির অনেক কারণও দেখাচ্ছেন তাঁরা৷ বিশেষ করে দিনে যারা অল্প বেতনের চাকরি করেন,  তাঁরা রাতে একটু বাড়তি রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাবে ভেবে শঙ্কিত৷ সেই শঙ্কা থেকেই কায়রোর এক রেস্তোরাঁর ওয়েটার আহমেদ ফারাক বলছিলেন, ‘‘এটা খুবই বাজে একটা পরিকল্পনা৷ এখানে বেশির ভাগ লোক আসতে শুরু করে রাত নয়টার পর৷ আমরা কি তাঁদের লাথি মেরে বের করে দেবো?''

৬৩ বছর বয়সি আহমেদ মাহমুদ সরকারের উদ্দেশ্য বিদ্রুপ ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘‘ওরা রাতারাতি দেশটাকে সুইজারল্যান্ড বানাতে চায়৷ এখন এই ঘোষণা দেবে, দু দিন পর হয়তো আমাদের হাতে ঘুমের ওষুধ দিয়ে বলবে – যাও ঘুমিয়ে পড়ো৷''

কিন্তু মিশরের স্থানীয় উন্নয়ন মন্ত্রী  আহমেদ জাকি বদর মনে করেন, সবাই বিদ্রুপ আর সমালোচনা করছেন, না বুঝে৷ দোকানপাট আগেভাগে বন্ধ করে দিলে কী কী লাভ হবে তা বোঝাতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘‘এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বিদ্যুতের খরচ তো কমবেই, সঙ্গে মানুষের কাজের মূল্যায়নও হবে নতুন করে৷ সুবিধাও তো অনেক৷ রাস্তাগুলো রাতে শান্ত থাকবে৷ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবে৷''

কেউ কেউ কিন্তু সরকারের প্রতি নিজেদের সমর্থনের কথাও জানাচ্ছেন স্বতস্ফূর্তভাবে৷ জুতোর দোকানের ম্যানেজার ইহাব মোহাম্মদও তাঁদের একজন৷ আগেভাগে দোকান বন্ধ হলে বাড়ি ফিরে পরিবারকে বাড়তি সময় দিতে পারবেন ভেবেই তিনি মহাখুশি৷

এসিবি/এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য