বিচারকদের চিঠি, পুলিশের মদতে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ – DW – 11.09.2024
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিচারকদের চিঠি, পুলিশের মদতে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তাদের রায়ে অসন্তুষ্ট দুষ্কৃতীরা আবাসনে হামলা করার চেষ্টা করছে বলে জেলা জজকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন তিন বিচারক। এর পিছনে এক পুলিশ কর্মী আছে বলে তাদের সন্দেহ।

https://p.dw.com/p/4kUog
ডায়মন্ড হারবার স্টেশনের ছবি।
ডায়মন্ড বারবারের তিন বিচারকের চিঠি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ছবি: Subrata Goswami/DW

ডায়মন্ড হারবারের তিন বিচারক জেলা জজের কাছে এই অভিযোগ করে চিঠি লিখেছেন। জেলা জজ সেই চিঠি ফরোয়ার্ড করেছেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে।

যে তিনজন বিচারক এই চিঠি দিয়েছেন, তাদের মধ্যে দুইজন অতিরিক্ত জেলাজজ। তারা বলেছেন, তাদের সন্দেহ শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন নিয়ে তারা যে রায় দিয়েছেন তা পছন্দ না হওয়ায় দুষ্কৃতীরা তাদের আবাসনে ঢোকার চেষ্টা করছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দুষ্কৃতীরা আবাসনের ভিতরে ঢুকে বিদ্যুতের লাইন কাটার চেষ্টা করে। নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের বাধা দেয়।

বিচারকরা থানায় দুইবার ফোন করার কিছুক্ষণ পর পুলিশ যখন আসে, তখন দুষ্কৃতীরা চলে গেছে। 

বিচারকেরা চিঠিতে জানিয়েছেন, তাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের সন্দেহ, এই ঘটনার সঙ্গে একজন পুলিশ অফিসার যুক্ত। পসকো মামলায় কিছু রায় তাদের পছন্দ না হওয়ায় এই আক্রমণের চেষ্টা বলে বিচারকরা মনে করছেন।

এই চিঠির পর পুলিশ কিছুটা সক্রিয় হয়েছে। সেই অফিসারকে শো কজ করা হয়েছে। পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, ''এটা বিচারবিভাগের উপর হস্তক্ষেপ। এর বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্য়ের কথা।''

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ''বীরভূমে বিচারক আক্রান্ত হয়ে থানায় গেছিলেন। পুলিশ জানায় তাদের কিছু করার নেই। ডায়মন্ড হারবারেও বিচারকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পশ্চিমবঙ্গে 'বিচার চাই, হিসাব চাই' এই দাবিটা সকলের দাবি।''

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ''এরপরেও রাজ্যে আইনের শাসন অবশিষ্ট আছে বলে কেউ মনে করবেন? কেউ কি বলবেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো ভেঙে পড়েনি? এই নিয়ন্ত্রণহীন সরকার কী করছে?''

জিএইচ/এসজি(এবিপি আনন্দ)