তুরস্কের পথে কুর্দিরা... – DW – 22.09.2014
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কের পথে কুর্দিরা...

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪

মৃত্যু এড়াতে এতদিন সিরিয়ার অন্য এলকা থেকে যে শহরে আশ্রয় নিতেন আইএস-এর হামলার মুখে এখন সেই আইন-আল আরবও ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন কুর্দিরা৷ এ পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি সিরীয় কুর্দি আশ্রয় নিয়েছেন তুরস্কে৷

https://p.dw.com/p/1DGjg
Syrische Flüchtlinge an der Grenze zur Türkei bei Suruc 22.09.2014
ছবি: Reuters/Murad Sezer

সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম কুর্দি অধ্যুষিত শহর আইন-আল আরব৷ সিরিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিদ্রোহীদের ভয়াবহ আক্রমণের মুখেও এ শহরটি ছিল নিরাপদ৷ তাই দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এসে আশ্রয় নিত কুর্দিদের কাছে ‘কোবেনা' নামে পরিচিত এ শহরে৷ কিন্তু ইসলামিক স্টেটস (আইএস বা আইসিস)-এর আক্রমণের মুখে তাঁদের সেই নিরাপদ আশ্রয়ও এখন মৃত্যুপুরী৷ বাধ্য হয়ে সিরিয়া ছেড়ে পাশের দেশ তুরস্কে আশ্রয় নিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ৷

Syrische Flüchtlinge an der Grenze zur Türkei bei Suruc 21.09.2014
তুরস্ক সীমান্তে সিরীয় কুর্দি শরণার্থীরা...ছবি: picture-alliance/AP Photo/Burhan Ozbilici

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি কুর্দি আইন-আল আরব ছেড়ে তুরস্কে প্রবেশ করেছেন৷ শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য মুরসিতপিনার সীমান্ত খুলে দিয়েছে তুরস্ক৷ সে দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শরণার্থীদের চিহ্নিতকরণে যাতে অসুবিধা না হয়, সে কথা ভেবে মাত্র একটি সীমান্তই খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা৷

এদিকে সিরিয়া ছেড়ে যাওয়া মানুষগুলো তুরস্কেও নিরাপদ নয় বলে মনে করে তুর্কি কুর্দি বিদ্রোহীদের সংগঠন পিকেকে৷ সংগঠনটির নেতা দুরসুন কালকান তুর্কি সরকারের বিরুদ্ধেই আইএস-এর সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ তুলেছেন৷ এক বিবৃতিতে পিকেকে আইন-আল আরবকে আইএস জঙ্গিদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তুর্কি কুর্দিদের প্রতি অবিলম্বে সিরিয়ায় প্রবেশ করে যুদ্ধে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘সকল নাগরিক, তথা সব বন্ধুর প্রতি আহ্বান, আপনারা প্রতিরোধ গড়ে তুলুন৷''

কিন্তু গত কয়েকদিনে সিরিয়া ছেড়ে আসা লক্ষাধিক মানুষের জন্য আইএস-বিরোধী চলমান লড়াইয়ে এ মুহূর্তে তেমন কোনো আশার আলো নেই৷ ইরাক এবং সিরিয়ায় যুদ্ধরত আইএস জঙ্গিদের ওপর বিমান হামলা আরো জোরদার করার ঘোষণা দিলেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার কার্যত তা এখনো করেনি৷ তুরস্কে আশ্রয় নেয়া এক কুর্দি বলেছেন, ‘‘দায়েশ (আইএস) যখন আইন-আল আরব আক্রমণ করলো আমরা খুব আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলাম৷ মসজিদ থেকে তারা ঘোষণা করছিল, ৭ থেকে ৭৭ বছর বয়সি পর্যন্ত যাকে পাবে তাকেই মেরে ফেলা হবে৷''

এসিবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য