ব্রেক্সিটের পথে নতুন বিকল্প – DW – 26.03.2019
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিটের পথে নতুন বিকল্প

২৬ মার্চ ২০১৯

সোমবার ব্রিটেনের সংসদ ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় নতুন বিকল্পের পথ সুগম করে দিলো৷ বুধবার কোনো একটি বিকল্পের পক্ষে ঐকমত্য দেখা দিলে সরকার বিপাকে পড়বে৷ ফলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3Feze
ব্রিটেনের সংসদে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে
ছবি: picture-alliance/dpa/empics/PA Wire/House of Commons

সংসদে আরও বড় ধাক্কা খেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷ চলতি সপ্তাহে তিনি তৃতীয়বারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদের চুক্তির অনুমোদনের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন৷ কিন্তু সোমবার সেই প্রচেষ্টার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থতা মেনে নিলেন তিনি৷ তবে সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে তিনি বদ্ধপরিকর৷ তারপর সোমবার রাতে সংসদ এক প্রস্তাব অনুমোদন করে তাঁর কাছ থেকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ কার্যত কেড়ে নিল৷ ক্ষমতাসীন ও বিরোধী শিবিরের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা ক্ষমতাসীন টোরি দলের অলিভার লেটউইন-এর আনা এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ ফলে সংসদ এবার ব্রেক্সিট চুক্তির বিভিন্ন বিকল্পের প্রতি সমর্থন যাচাই করার সুযোগ পাবে৷ বুধবার এই ‘ইন্ডিকেটিভ' বা নির্দেশক প্রস্তাবগুলির পক্ষে ভোটাভুটি হবার কথা৷

সংসদ সরকারের হাত থেকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নিতে সক্ষম হলে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এতকাল যে সব বিকল্প পুরোপুরি উপেক্ষা করে আসছিলেন, তার মধ্যে কোনো একটির পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখা যেতে পারে৷ ব্রেক্সিটের প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোট, ইইউ-র শুল্ক কাঠামোয় থেকে যাওয়া থেকে শুরু করে নরওয়ে মডেল অনুকরণের মতো একাধিক সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে৷ উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী এতকাল এমন ‘সফট' ব্রেক্সিটের প্রবল বিরোধিতা করে এসেছেন৷ তিনি সংসদের নিজস্ব উদ্যোগে আনা এমন কোনো প্রস্তাব কার্যকর না করার হুমকিও দিয়েছেন৷

দলমতনির্বিশেষে ব্রিটেনের সংসদ সদস্যরা যেভাবে একজোট হচ্ছেন, তার ফলে দুই প্রধান দলের কর্তৃত্বও শিথিল হয়ে পড়ছে৷ দলের সংকীর্ণ মনোভাবের বদলে জাতীয় স্বার্থে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার উপর জোর দিচ্ছেন অনেক জনপ্রতিনিধি৷ সোমবারই টোরি দলের ৩ জন প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন৷ ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টেরেসা মে আর কতকাল টিকে থাকতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ লেবার দলের নেতা জেরেমি কর্বিন অবশ্য সংসদের এই অগ্রণী ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷

ব্রিটিশ রাজনীতির এমন উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ইইউ চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের প্রস্তুতি আরও জোরদার করছে৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করাতে পারলে ২২শে মে পর্যন্ত ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়াতে রাজি হয়েছিলেন ইইউ নেতারা৷ সেই সম্ভাবনা ধীরে ধীরে আরও ক্ষীণ হয়ে পড়ছে৷ ফলে ১২ই এপ্রিলের মধ্যে ব্রিটেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিতে ব্যর্থ হলে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প অবশিষ্ট থাকবে না৷

এসবি/জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স)