পরিদর্শন নিয়ে বিভ্রান্তি – DW – 06.09.2014
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিদর্শন নিয়ে বিভ্রান্তি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশের পোশাক কারখানা পরিদর্শন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে৷ এই বিতর্ক দুই ক্রেতা গ্রুপের মধ্যে৷ আর তাদের বিতর্কে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার মালিকরা৷

https://p.dw.com/p/1D7ms
Erster Jahrestag des Einsturzes der Textilfabrik in Bangladesch (Bildergalerie)
ছবি: DW/C. Meyer

তাঁরা বলছেন, দুটি ক্রেতা গ্রুপের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় একই কারখানা একাধিকবার পরিদর্শন করা হচ্ছে৷ বিজিএমইএ বলছে, বিদেশি ক্রেতাদের দুটি জোটের মধ্যে সমন্বয়হীনতার ফলে একই কারখানা দু'পক্ষ থেকেই পরিদর্শনের ফলে মালিকেরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন৷ বিষয়টি অ্যালায়েন্স স্বীকার করলেও ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড বলছে তালিকা ও মানদণ্ড মেনেই কাজ করছেন তাঁরা৷

রানা প্লাজা বিপর্যয়ের পর দেশের ৩,৫০০ পোশাক কারখানা পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়া হয়৷ এর মধ্যে ১,৫০০ ইউরোপীয় জোট অ্যাকর্ড এবং ৬০০ পোশাক কারখানা অ্যামেরিকান জোট অ্যালায়েন্সের তালিকায়৷ বাকি কারখানাগুলো পরিদর্শন করার কথা সরকারের৷

তবে ক্রেতাদের দুপক্ষ থেকেই একই কারখানা একাধিকবার পরিদর্শনের নজির রয়েছে৷ জানা গেছে মোট ৩০০ কারখানা দুইবার করে পরিদর্শন করা হয়েছে৷ উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আশুলিয়ার জিরানি বাজারে বডিস্ট্রেচ কারখানা পরিদর্শন করে অ্যাকর্ড৷ এর আগেই এটি পরিদর্শন করে অ্যালায়েন্স-মনোনীত কোম্পানি ব্যুরো ভেরিটাস৷ অ্যাকর্ড বলছে, সঠিক মানদণ্ড তৈরি হবার আগেই বিদেশি ক্রেতাদের পক্ষ থেকে একবার কারখানাটি পরিদর্শন করা হয়৷ মানদণ্ড তৈরির পর তালিকায় থাকায় তাই কারখানাটিতে আবারও যায় অ্যাকর্ড৷

ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড বলছে তারা তাদের এরই মধ্যে ১,০৭৫টি কারখানা পরিদর্শন করেছে৷ তারা পরিদর্শন করা কারাখানার মধ্যে কিছু কারখানা আবারো পরিদর্শন করতে চায়৷ তারা বলছে, তাদের আরো কিছু বিষয় দেখার আছে৷ এখনো তাদের উদ্বেগের যে বিষয়গুলো আছে সে সব ব্যাপারে তারা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে চান৷ আর মানদণ্ড ঠিক করার আগেই এককভাবে ক্রেতারা যে সব কারখানা পরিদর্শন করেছে সেগুলোও পরিদর্শন করা প্রয়োজন৷

তবে অ্যামেরিকান জোট অ্যালায়েন্স বলছে, তারা এ পর্যন্ত তাদের তালিকায় থাকা ৬০০ কারখানার পরিদর্শন শেষ করেছে এবং তাদের নতুন করে কারখানা পরিদর্শনের দরকার নেই৷ তাদের পরিদর্শনের পদ্ধতি নিয়ে অ্যাকর্ড যে প্রশ্ন তুলেছে, তা তারা মানতে নারাজ৷

বিজিএমইএ-র সহ সভাপতি শহীদুল আযিম জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে পোশাক কারখানা পরিদর্শন নিয়ে এই সমন্বয়হীনতা এবং বিতর্কের কারণে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন৷ এতে কারখানার উৎপাদন যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন খরচও বেড়ে যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, এটা বিভ্রান্তিও সৃষ্টি করছে৷ তাই তিনি ক্রেতাদের দু'টি গ্রুপকে সমন্বয় করে কাজ করার অনুরোধ করেছেন৷

উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত ১,৬০০ পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে ২১টি বন্ধের সুপারিশ করেছে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স৷ ২১টি কারখানাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য