পলাতকদের অবস্থান অজানা – DW – 15.08.2014
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পলাতকদের অবস্থান অজানা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ আগস্ট ২০১৪

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬ জন এখনো দেশের বাইরে পলাতক আছেন৷ নানা উদ্যোগ নিলেও সরকার গত ৫ বছরে তাদের সবার নিশ্চিত অবস্থানই জানতে পারেনি৷

https://p.dw.com/p/1CvJC
Sheik Mujibur Rahman
ছবি: AP

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ড পাওয়া ৬ পলাতক আসামি হলেন: লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল এম রাশেদ চৌধুরী, ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন৷

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘‘আমরা এখনো এই ছয়জনের নিশ্চিত অবস্থান জানি না৷ তবে দু'জন অ্যামেরিকা ও ক্যানাডায় আছেন বলে জানা গেছে৷''

পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘‘লে. কর্নেল নূর চৌধুরী ক্যানাডায় এবং লে. কর্নেল এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত৷ কিন্তু বাকি চারজনের অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই৷''

এদিকে সংশ্লিষ্ট নানা সূত্রে জানা গেছে, পলাতক ছয় জন বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, থাইল্যান্ড, লিবিয়া, পাকিস্তান, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইতালি, লিবিয়া, চায়না, হংকং, কেনিয়া ও ভারতে অবস্থান করেছেন৷

লে. কর্নেল এম রাশেদ চৌধুরী থাইল্যান্ড, লিবিয়া এবং ক্যানাডায় অবস্থান করেছেন৷ আর লে. কর্নেল নূর চৌধুরী ক্যানাডা, পাকিস্তান ও সৌদি আরবে বিভিন্ন সময় অবস্থান করেছে বলে বাংলাদেশের কাছে তথ্য আছে৷

Mujibur Rahman
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানছবি: picture-alliance / dpa

রিসালদার মোসলেমউদ্দিন এখন পাকিস্তানে আছেন বলে ধারাণা করা হচ্ছে৷ তবে এর আগে তিনি ভারতে ছিলেন বলে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে জানিয়েছিল৷

খন্দকার আবদুর রশিদ অবস্থান করেন মূলত লিবিয়ার বেনগাজি শহর ও পাকিস্তানে৷ আর শরিফুল হক ডালিমের ব্যবসাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড কেনিয়াকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হলেও তিনি মাঝেমধ্যে লিবিয়া ও ইউরোপে যান৷ তিনি একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তৎপরতা চালাচ্ছেন৷

আরেক পলাতক আসামি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের হারারেতে মারা যান৷

২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মোট ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন৷ তাদের মধ্যে আটক পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ঐ বছরই কার্যকর হয়৷ আর বাকিরা পলাতক থাকায় তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায়নি৷

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, ‘‘সরকার কূটনৈতিকভাবে জোর তৎপরতা চলাচ্ছে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে ফেরত আনতে৷ কিন্তু কিছু দেশ আইনি বাধার কথা বলছে৷''

গত সপ্তাহে ঢাকায় ক্যানাডার রাষ্ট্রদূত হিদার ক্রুডেন বলেন, ‘‘পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ শেখ মুজিব হত্যা একটি জঘন্য কাজ৷'' কিন্তু নূর চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি৷

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের ফেরত আনতে সরকারের একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে৷ টাস্কফোর্সের প্রধান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘‘টাস্কফোর্স শিগগিরই বসবে৷ সরকার খুনিদের ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট আন্তরিক৷ তবে ক্যানাডায় পালিয়ে থাকা খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত চাওয়া হলে ক্যানাডার সরকার জানিয়েছে, তারা তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে৷ এ ছাড়া খুনিদের ফিরিয়ে আনার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার প্রসঙ্গটিও গুরুত্বপূর্ণ৷ এ জন্য অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য