ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা – DW – 12.02.2019
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ব্রিটেনের ‘সান' সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরই পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ এ দিকে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত অচলাবস্থা কাটাতে ইইউ ব্রিটেনকেই স্পষ্ট অবস্থান নেবার ডাক দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3DCBu
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে
ছবি: picture-alliance/AP/F. Seco

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্রেক্সিট সংক্রান্ত মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আবার মনে করিয়ে দেন, যে আগামী ২৯শে মে-র মধ্যে ব্রিটেন ও ইইউ-র মধ্যে কোনো চুক্তি চূড়ান্ত করে বিচ্ছেদের জন্য হাতে অত্যন্ত কম সময় রয়েছে৷ এই অবস্থায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বিরোধী নেতা জেরেমি কর্বিন-এর পরামর্শ অনুযায়ী স্থায়ী শুল্ক ইউনিয়ন মেনে নিলে বর্তমান অরাজকতার অবসান হতে পারে, বলেন বার্নিয়ে৷ মোটকথা, ব্রিটেনকেই পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে বলে মনে করিয়ে দেন তিনি৷ বার্নিয়ে বলেন, ‘‘আমরা কখনো ব্রেক্সিট চাই নি, ব্রেক্সিটের দাবি তুলিনি৷ দায়িত্ব লন্ডনে শুরু হয়েছিল, এখনো তা লন্ডনেই রয়েছে৷''

বার্নিয়ে-র সঙ্গে আলোচনার পর লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী সাভিয়ে বেটেল ব্রিটেনকে ‘বিভক্ত যুক্তরাজ্য' হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ তাঁর মতে দেশটিকে এই মুহূর্তে ‘সংযুক্ত যুক্তরাজ্য' হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়৷ ব্রেক্সিটপন্থি রাজনৈতিক নেতারা কোনো আইডিয়া ও সাহস দেখাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ তাঁরা শুধু ‘না' বলেই খালাস, কোনো বিকল্প প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত নন৷ এমনকি দ্বিতীয় গণভোটেরও বিরোধী তাঁরা৷

সোমবার রাতে বার্নিয়ে ব্রাসেলসে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট মন্ত্রী স্টিফেন বার্কলে-র সঙ্গে আলোচনা করেন৷ ‘গঠনমূলক' আলোচনা সত্ত্বেও বার্নিয়ে আবার স্পষ্ট করে দেন, যে মূল ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে নতুন করে কোনো আলোচনা সম্ভব নয়৷ তবে আগামী দিনগুলিতেও দুই পক্ষের মধ্যে সংলাপ চালু থাকবে৷ ব্রিটেনের সরকার সে দেশে বিতর্কিত ‘ব্যাকস্টপ' ব্যবস্থার কোনো স্পষ্ট বিকল্প পেশ না করায় অগ্রগতির কোনো সম্ভাবনা অবশ্য কম৷

এ দিকে ব্রিটেনের ‘সান' সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে চলতি বছর গ্রীষ্মকালে পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজের উত্তরসুরি স্থির করতেই প্রধানমন্ত্রী এই সময় বেছে নিচ্ছেন বলে মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য মনে করেন৷

ব্রেক্সিট সম্পর্কে চরম অনিশ্চয়তার ফলে ব্রিটেনের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ সোমবার প্রকাশিত তথ্য-পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ১.৪ শতাংশ৷ ২০১২ সালে ইউরোপে আর্থিক সংকটের পর ব্রিটেন এমন দুর্দিনের মুখ দেখেনি৷ বিনিয়োগের হারও ছিল অত্যন্ত কম৷ গত ডিসেম্বর মাসে প্রবৃদ্ধির বদলে মন্দা দেখা গেছে৷ ব্রেক্সিটের দিন ঘনিয়ে আসা সত্ত্বেও ব্রিটেনের শিল্প-বাণিজ্য জগত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অন্ধকারে রয়েছে৷ ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে৷ 

এ সবের মধ্যে ব্রিটেন সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে এক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷ ফলে ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্কে অনিশ্চয়তা থাকবে না৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)