নির্বাচন উপলক্ষে ছয় লাখ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন – DW – 28.12.2008
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচন উপলক্ষে ছয় লাখ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৮ ডিসেম্বর ২০০৮

ভোট চলাকালে নিরাপত্তা দিতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের ৬ লাখ সদস্য নেমেছে৷ ভোট কেন্দ্রের ভেতরে থাকবে পুলিশ ও আনসার৷ বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স, টহল ও মোবাইল ডিউটি করবে সেনাসদস্য, র‌্যাব, বিডিআর সহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা৷

https://p.dw.com/p/GOG8
ভোট কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা রক্ষার মূল দায়িত্ব পালন করবে পুলিশছবি: Mustafiz Mamun

ছয় লাখ নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে রয়েছে প্রায় এক লাখের মত পুলিশ, ৪ লাখ ২৫ হাজার আনসার, ৫০ হাজার সেনাসদস্য, ৬ হাজার র‌্যাব, ৫ হাজার বিডিআর সহ নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও গ্রাম পুলিশ৷ পাঁচটি স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে৷ এবার সারাদেশের ভোট কেন্দ্রগুলোকে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ এ দুই ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে৷ মূলত ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ এসব কেন্দ্রে ১৮ জন করে এবং সাধারণ কেন্দ্রে ১৪ জন করে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে৷ উল্লেখ্য, সারাদেশে ৩৫ হাজার ২১৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২০ হাজার ৮৬৫টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷

পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, অতীতের নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পরেও সহিংস ঘটনা ঘটেছে৷ এবার যাতে সে রকম কিছু না ঘটে এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা৷ অতীতে যেসব জায়গায় নির্বাচনী সহিংসতা হয়েছে, সেগুলো এবার চিহ্নিত করা হয়েছে৷ এসব জায়গায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷ উল্লেখ্য, গত ২০শে ডিসেম্বর থেকে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷ তারা আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠে অবস্থান করবে৷ প্রতিটি জেলায় এক ব্যাটালিয়ন সেনাসদস্য নিয়োগ করা হয়েছে৷ তবে সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে৷ রিটার্নিং কর্মকর্তারা সহযোগিতা চাইলে সেনা সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার বাহিনীকে সহযোগিতা করবে৷ এর বাইরে সেনা সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করবে না৷

Ausnahmezustand in Bangladesch
নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছেছবি: AP

মেট্রোপলিটান এলাকার বাইরের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ, ১৩ জন আনসার এবং একজন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে৷ মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সমান সংখ্যক আনসার ও গ্রাম পুলিশসহ তিনজন পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে৷ তবে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে তিনজনের জায়গায় পাঁচজন পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে৷ পার্বত্য ও হাওর এলাকার ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে সমান সংখ্যক আনসার ও গ্রাম পুলিশসহ দুইজন পুলিশ৷ তবে এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে তিনজন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে৷

পুলিশ ও আনসার সদস্যরা গতকাল রোববার থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেছে৷ তারা ভোটগ্রহণের পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে৷ তাদের দায়িত্ব মূলত জননিরাপত্তা ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা৷ একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি শৃংখলা রক্ষার কাজও করছেন তারা৷ রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রয়োজন ছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনা কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না৷ আইন শৃংখলার সার্বিক বিষয় সমন্বয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ২৫শে ডিসেম্বর থেকে আইন-শৃংখলা সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে৷ সীমান্তবর্তী ৭০টি উপজেলায় সশস্ত্র বাহিনীর পরিবর্তে বিডিআর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে৷