নতুন মাত্রা পেয়েছে জঙ্গিবিরোধী অভিযান – DW – 24.08.2016
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন মাত্রা পেয়েছে জঙ্গিবিরোধী অভিযান

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৪ আগস্ট ২০১৬

প্রায় প্রতিদিনই আসছে জঙ্গি আটকের খবর৷ গুলশান হামলার পর জঙ্গিবিরোধী অভিযান যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1JoMH
গুলশান হামলার সময়...
ছবি: picture-alliance/AP Photo

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গুলশান হামলার পর সাধারণ মানুষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সচেতন এবং সোচ্চার হয়েছে৷ তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সহায়তা করছেন৷

এ সপ্তাহেই প্রকাশ করা হয়েছে ব্লগার অভিজিত্‍ রায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছয় জনের ভিডিও ফুটেজ৷ আর তা প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)৷ তারই ধারাবাহিকতায় প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মইনুল ইসলাম শামীম ওরফে সিফাত ওরফে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মঙ্গলবার রাতে৷ গাজীপুরের টঙ্গিতে চেরাগ আলী মার্কেটে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা৷ তাকে ধরিয়ে দিতে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল৷

মাসুদুর রহমান

একই রাতে আটক করা হয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির পাঁচ সদস্যকে৷ আটক জেএমবি সদস্যরা হলো রাশেদুজ্জামান, আব্দুল হাই, শাহবুদ্দিন রকি, ফিরোজ আহমেদ শেখ এবং সাইফুল ইসলাম৷ তাদের মধ্যে রাশেদুজ্জামান জেএমবির নারী শাখার প্রশিক্ষক ও দক্ষিণাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আমির৷

এর আগে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে জেএমবির নয় জন নারী সদস্যকে আটক করা হয়৷ তারা তহবিল সংগ্রহ, সদস্য সংগ্রহ এবং যোগাযোগের কাজে নিয়োজিত ছিল৷

তবে এসবের মধ্যে ঢাকার কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানকে পুলিশ গুলশান হামলার পর সবচেয়ে সফল জঙ্গিবিরোধী অভিযান হিসেবে বিবেচনা করছে৷ এসব অভিযানে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, গোয়েন্দা বিভাগ এবং ব়্যাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে৷

গুলশান হামলার পর এক মাসে সারাদেশে জঙ্গি সন্দেহে আটক হয়েছে ১৫৯ জন৷ সবচেয়ে বেশি আটক করা হয়েছে সাতক্ষীরা এবং সিলেট থেকে৷ জুলাই মাসে সাতক্ষীরা থেকে জঙ্গি সন্দেহে আটক হয়েছে ৪৫ জন এবং সিলেট থেকে ৩১ জন৷

সাতক্ষীরা ও সিলেটের বাইরে মানিকগঞ্জে ১১ জন, ঢাকায় ১০ জন, পাবনায় ৯ জন, খুলনায় ৮ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন, নওগাঁয় ৬ জন, গাজীপুরে ৪ জন, কুমিল্লা, মাগুরা ও টাঙ্গাইলে ৩ জন করে আটক হয়েছে৷''

আটকদের মধ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৭ জন, হিযবুত-তাহরিরের ৩ জন, জামাত-শিবিরের ৩৪ জন, জেএমবির ৩২ জন এবং সংগঠনের পরিচয় না থাকা ৮৩ জন জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক হয়েছে৷

পুলিশ আনসার আল ইসলামকে নিষিদ্ধ করারও উদ্যোগ নিয়েছে৷ আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ হওয়ার পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন নামে ওই সংগঠনটিই আনসার আল ইসলাম নামে আবির্ভূত হয়৷

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গুলশান হামলার পর ঢাকাসহ সারাদেশে জঙ্গিবিরোধী অভিয়ার জোরদার করা হয়েছে৷ অভিযানে শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে কৌশলগত পরিবর্তন আনা হয়েছে৷

তিনি বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষের সহায়তা নিচ্ছি৷ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করছি৷ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য পেতে নিজস্ব অ্যাপস ব্যবহার করছি৷ অ্যাপসের মাধ্যমে এ পর্যন্ত আমরা ১০ হাজার অভিযোগ পেয়েছি৷ এসব অভিযোগ যাচাই বাছাই করে আমার কাজে লাগাচ্ছি৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘গুলশান হামলার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে জঙ্গিবিরোধী সচেতনতা তৈরি হয়েছে, যা খুবই ইতিবাচক৷ সাধারণ মানুষ এখন নিজ উদ্যোগে তথ্য দিচ্ছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য