দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে বাংলাদেশের নতুন সাফল্য – DW – 23.01.2011
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে বাংলাদেশের নতুন সাফল্য

২৩ জানুয়ারি ২০১১

দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে বেশ বড় একটা সাফল্য অর্জন করলো বাংলাদেশ৷ প্রতিবেশী দেশগুলোর আস্থা অর্জনের ফলশ্রুতি হিসেবে ঢাকাকেই শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হয়েছে বিমসটেক এর স্থায়ী সচিবালয়ের জন্য৷

https://p.dw.com/p/101EW
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনিছবি: DW

বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী সাতটি দেশ নিয়ে গঠিত সংগঠন বিমসটেক৷ পুরো নাম ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক ফোরাম'৷ অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এই সংগঠনটি গঠন করা হয়৷ এর সদস্য দেশগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড৷ বিগত ১৯৯৭ সালে গঠিত হওয়ার পর এই সংগঠনটির কার্যক্রম নিয়মিতই চলে আসছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোন স্থায়ী ঠিকানাই ছিল না৷

এত বড় একটি সংগঠনের স্থায়ী ঠিকানার অর্থ হচ্ছে একটি স্থায়ী সচিবালয়৷ দীর্ঘদিন ধরেই শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশ এই স্থায়ী সচিবালয়ের জন্য সদস্য দেশগুলোর কাছে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকেই বেছে নিল সদস্য দেশগুলো৷ সম্প্রতি মিয়ানমারের নতুন রাজধানী নে পি তাও-এ বিমসটেক এর সাতটি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন৷ সেখানেই শ্রীলংকাকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ বিমসটেক সচিবালয়ের ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃতি পায়৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে কেবল কূটনৈতিক সাফল্যই বলছে না, প্রতিবেশী দেশগুলোর আস্থারও প্রতিফলন বলে মনে করছে৷

জানা গেছে, এই বছরেই বিমসটেক সচিবালয় স্থাপনের কাজ শুরু হবে৷ এজন্য শিগগিরই ঢাকাতে সংগঠনের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক বসতে চলেছে৷ এদিকে সচিবালয়ের ভেন্যু হিসেবে ঢাকাকে নির্ধারণ করলেও সংগঠনের প্রথম মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে শ্রীলংকাকে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়