ত্রিপুরা সফর করবেন শেখ হাসিনা – DW – 11.01.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রিপুরা সফর করবেন শেখ হাসিনা

১১ জানুয়ারি ২০১২

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দু’দিনের সফরে আগরতলায় পৌঁছবেন৷ ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে তিনি গ্রহণ করবেন সান্মানিক ডি-লিট উপাধি৷ তাঁকে দেয়া হবে নাগরিক সম্বর্ধনা৷

https://p.dw.com/p/13h1V
The Prime Minister of Bangladesh Sheikh Hasina addresses a news conference with German Chancellor Angela Merkel, not seen, after a meeting at the chancellery in Berlin, Tuesday, Oct. 25, 2011. (Foto:Markus Schreiber/AP/dapd)
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাছবি: dapd

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ বিমানে পৌঁছবেন আগরতলার সিঙ্গারবিল বিমানবন্দরে আগামীকাল অপরাহ্নে৷ বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বাল৷ থাকবেন অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা৷ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি ও অন্য পাঁচজন মন্ত্রীসহ বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ীদের ৫০ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল৷ 

প্রথমদিনে উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, ত্রিপুরার রাজ্যপাল ড. ডি.ওয়াই পাটিল, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ৷ পরে তাঁর সম্মানে নৈশভোজ৷

বৃহস্পতিবার সকালে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমাবর্তন উৎসবে শেখ হাসিনাকে সান্মানিক ডি-লিট উপাধি দেবেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসরি৷ উপমহাদেশে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নারীর ক্ষমতায়নের স্বীকৃতি হিসেবেই এই উপাধি, ডয়চে ভেলেকে সেকথাই জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অরুণোদয় সাহা৷ তার আগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিনি রবীন্দ্রনাথের একটি মূর্তির আবরণ উন্মোচন করবেন৷ দ্বারোদ্ঘাটন করবেন রবীন্দ্র মুক্তাঙ্গন নাট্যশালার৷

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর এই প্রথম কাউকে দেয়া হলো সন্মানসূচক ডি-লিট উপাধি৷ উপাচার্য অরুণোদয় সাহা ডয়চে ভেলেকে আরো জানালেন, যে জায়গায় এই বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা এখানেই থাকতেন৷ বিকেলে আগরতলা পুরসভা শেখ হাসিনাকে দেবে নাগরিক সম্বর্ধনা৷

বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি দুদেশের সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে৷ সীমান্ত হাট আরো বাড়ানোর দাবি উঠবে৷ বাংলাদেশকে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত৷

পাশাপাশি  ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করা হলো৷ দুদেশের মধ্যে কন্টেনারবাহী ট্রেন ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস'এর সময় কম করার বিভিন্ন ব্যবস্থাদিও বিবেচনাধীন৷

সুশীল সমাজের অভিযোগ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিরাট অবদান রাখা সত্ত্বেও বাংলাদেশ যেন উপেক্ষা করে এসেছে ত্রিপুরাকে৷ কোন প্রধানমন্ত্রী  আসেননি এই রাজ্যে৷ ১৫ লাখ বাংলাদেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল এই রাজ্য৷এই রাজ্যে শিবির স্থাপন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা৷ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একটি পর্বে আগরতলা থেকে অনুষ্ঠান প্রচার করেছিলেন শব্দসৈনিকরা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য