তুরস্ক আর ইসরায়েলে উত্তেজনা – DW – 16.05.2018
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্ক আর ইসরায়েলে উত্তেজনা

১৬ মে ২০১৮

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে গাজায় অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন৷ মঙ্গলবার সেখানে বড় কিছু না ঘটলেও জমে উঠেছে এর্দোয়ান-নেতানিয়াহুর কথার লড়াই৷ দূত প্রত্যাহার আর পালটা প্রত্যাহারও চলছে তুরস্ক আর ইসরায়েলের মধ্যে৷

https://p.dw.com/p/2xntl
Israel Protesten in Gaza | palästinensiche Frau dokumentiert die Lage
ছবি: Getty Images/S. Platt

ঘটা করেই যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের উদ্বোধন হলো জেরুসালেমে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেল আভিভ থেকে জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফিলিস্তিন এবং বিশ্বের নানা স্থানের মুসলিম দেশগুলোতে শুরু হয় প্রতিবাদ৷ যুক্তরাষ্ট্র তবু সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেনি৷ গত ১৩ মে, অর্থাৎ জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের আগের দিন থেকেই গাজায় শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ৷ বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায়৷ ১৪ জুনও চলে গুলিবর্ষণ৷ দু'দিনে অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি মারা যায়, আহত হয় প্রায় ২৫০০ জন৷

জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর এবং এই স্থানান্তরের কারণে বিক্ষুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে আঙ্কারা থেকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তুরস্ক৷ জবাবে ইসরায়েলও তেল আভিভ থেকে তুর্কি দূতকে ফিরে যেতে বলে৷

দূত প্রত্যাহারের মাঝেই থেমে নেই দু' দেশের দ্বন্দ্ব৷ ইসরায়েলের এক সময়ের ‘বন্ধুপ্রতিম' দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি টুইটারে

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তোপ দাগান৷ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নিষ্ঠুর আচরণের জন্য নেতানিয়াহুকে ‘বর্ণবাদী দেশের নেতা' হিসেবে অভিহিত করেন৷ নেতানিয়াহুও চুপ থাকেননি৷ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেন, ‘‘হামাসের সবচেয়ে বড় সমর্থকদের একজন এর্দোয়ান৷ সুতরাং তিনি যে সন্ত্রাস এবং হত্যার বিষয়টি ভালো বুঝবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ তার প্রতি পরামর্শ – তিনি যেন আমাদের নৈতিকতা শেখাতে না আসেন৷''

এর্দোয়ানের জবাবও আসে খুব তাড়াতাড়ি৷ হামাস এবং তাঁকে নেতানিয়াহু প্রকারান্তরে সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়ায় ক্ষুব্ধ তুর্কি প্রেসিডেন্ট দাবি করেন হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘হামাস সন্ত্রাসী সংগঠন নয় এবং ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাসী নয়৷ এটা দখলদারি শক্তির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের জন্মভূমি রক্ষার প্রতিরোধ আন্দোলন৷''

এসিবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য