সিপ্রাসের সংস্কার প্রস্তাব – DW – 10.07.2015
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিপ্রাসের সংস্কার প্রস্তাব

১০ জুলাই ২০১৫

বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিশদ সংস্কার পরিকল্পনা পেশ করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাসের৷ চূড়ান্ত এই ডেডলাইন মেনে তিনি সেটাই করেছেন৷ কিন্তু এ প্রস্তাব রবিবার অনুমোদিত না হলে সম্ভবত – ‘গ্রেক্সিট'!

https://p.dw.com/p/1Fuw8
Alexis Tsipras EU-Parlament
ছবি: Reuters/V. Kessler

অবশেষে কর বৃদ্ধি আর অবসার ভাতায় সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস৷ অথচ বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সংসদে বক্তৃতা দেওয়া সময়ও বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না৷ এর আগে তো নয়ই৷

গত রবিবার ছিল গ্রিসে গণভোট৷ ভোটে ৬০ শতাংশ ভোটার সংস্কারের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করেছেন – অর্থাৎ সিপ্রাসের হাত শক্ত করেছেন৷ ইইউ নেতৃবর্গের তরফে মৌখিক প্রতিক্রিয়া – ‘‘আমরা গ্রিক ভোটারদের গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করে চলবো'' – ‘পলিটিক্যালি করেক্ট' হলেও, স্বভাবতই এর ফলে গ্রিসকে উত্তরোত্তর সাহায্যদানের প্রস্তুতি অনেকটা ঘা খেয়েছে৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সংসদ সভাপতি মার্টিন শুলৎস থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিককে বলতে শোনা গেছে, সংস্কারের প্রস্তাব পেশ করার দায়িত্ব এখন পুরোপুরি এথেন্সের৷

গণভোটের পর পর পুরনো অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারুফাকিস বিদায় নিয়েছেন, তাঁর স্থলে নতুন অর্থমন্ত্রী ইউক্লিড সাকালোটোস ব্রাসেলসে হাজিরা দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু কোনো নতুন প্রস্তাবের পোর্টফোলিও ছাড়া – যা বাকি ইইউ নেতৃবর্গের পক্ষে খুবই হতাশাজনক হয়েছে৷ ইইউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ককে বলতে শোনা গেছে: ‘‘আজ রাতে আমাকে স্পষ্টভাবে বলতে হবে যে....চূড়ান্ত ডেডলাইন এ সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে৷''

বুধবার ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ক্রিস্টিয়ঁ নোইয়ে এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন যে, এই সপ্তাহের মধ্যে কোনো ‘ডিল' বা চুক্তি সম্পাদিত না হলে গ্রিস ‘‘অরাজকতায়'' ডুবে যেতে পারে৷ ‘‘গ্রিক অর্থনীতি একটি বিপর্যয়ের মুখে৷ রবিবারের মধ্যে একটি আপোশ খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত জরুরি, না হলে বড় দেরি হয়ে যাবে, যার ফলশ্রুতি হবে গুরুতর,'' ফরাসি বেতারে মন্তব্য করেন নোইয়ে৷ গ্রিসে আপাতত ব্যাংক খুললে ‘ব্যাংক রান' হবার সম্ভাবনা দেখেন তিনি৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনীতি বিষয়ক কমিশনার পিয়ের মস্কোভিচি অবশ্য এখনও আশাবাদী যে, রবিবারের মধ্যে গ্রিসের সঙ্গে চুক্তি করা সম্ভব৷ কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য প্রস্তাব দেওয়ার দায়িত্ব এখন গ্রিক সরকারের উপর, বলে মস্কোভিচি ফরাসি টেলিভিশনে মন্তব্য করেছেন৷ অপরদিকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুঙ্কার মঙ্গলবারেই জানিয়ে দিয়েছেন: ‘‘আমাদের একটি ‘গ্রেক্সিট' সিনারিও বিশদভাবে পরিকল্পনা করা আছে''৷ তবে তিনি যোগ করেন যে, ব্যক্তিগতভাবে তিনি গ্রিসকে ইউরোজোনে রাখার যাবতীয় প্রচেষ্টা করতে প্রস্তুত৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-ও দৃশ্যত গ্রিসকে ইউরো এলাকায় রাখতে চান, যদিও তাঁর দল সিডিইউ-সিএসইউ-এর বহু সদস্য ইতিমধ্যে গ্রিসের জন্য কোনো নতুন ত্রাণ পরিকল্পনার কথা শুনতে রাজি নন৷ ম্যার্কেল-এর মতে গ্রিসের একটি ‘‘বেশ কয়েক বছর ব্যাপি'' ঋণ পরিশোধ কর্মসূচি প্রয়োজন৷

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান