ডিস্কো কুইন ডনা সামার মারা গেলেন – DW – 18.05.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডিস্কো কুইন ডনা সামার মারা গেলেন

১৮ মে ২০১২

চিরকালের ‘ডিস্কো ডিস্ক’ ‘লাভ টু লাভ ইউ বেবি’-র গায়িকা ডনা সামার কিন্তু নিজেকে রক-অ্যান্ড-রোলের অঙ্গ হিসেবেই মনে করতেন৷ গসপেল, সাইকেডেলিক রক, মিউজিক্যাল, অপেরা হয়ে ডিস্কো - এই ছিল তাঁর যাত্রা৷

https://p.dw.com/p/14xTY
ছবি: REUTERS

৬৩ বছর বয়সে ক্যান্সারে মারা গেলেন ডনা সামার৷ অ্যারেথা ফ্যাঙ্কলিন থেকে শুরু করে বার্বারা স্ট্রাইস্যান্ড'এর মতো সংগীত জগতের নক্ষত্রেরা বলেছেন, তাঁরা মর্মাহত৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ডনা'র কণ্ঠ ছিল অবিস্মরণীয়৷ তাঁর মৃত্যুতে সংগীত শিল্প একটি কিংবদন্তীকে হারাল৷ এল্টন জন বোদ্ধা৷ তিনি বলেছেন, ডনা'কে যে ‘রক-অ্যান্ড-রোল হল অব ফেম'-এ স্থান দেওয়া হয়নি, এটা একটা লজ্জাকর ঘটনা৷

বলতে কি, ডিস্কো সাউন্ড ওঠে আর পড়ে ঐ মাত্র একটি দশকে, গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে৷ কিন্তু তা কতোগুলো স্থায়ী ছবি রেখে গেছে: তার মধ্যে একটি হলো কৃষ্ণকেশ সুন্দরী ডনা সমার, পরণে ঝলক দেওয়া গাউন, গ্লসি লিপস্টিক পরা লাস্যময়ী ঠোঁট ও হাসি, যৌন আবেদনপূর্ণ গান এবং গানের মধ্যেই নানা ধরণের স্বগতোক্তি ও আকস্মিক আওয়াজ, যা গানের সাউন্ডট্র্যাকে না হয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ফিল্মে হলেই বোধহয় বেশি মানাতো৷

ডনা'র গান শুধু পপ সংগীতেই নয়, সমগ্র মার্কিন সংস্কৃতিতেই একটি বিপ্লবের সূচক হয়ে দেখা দেয় এমন একটি সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ সমাজ যৌনতা, বর্ণ, ফ্যাশন, ড্রাগস, সব কিছু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাছচ্ছে - এবং তাদের সেই পূর্ণ স্বাধীনতায় কেউ বাধা দিচ্ছে না৷

Donna Summer Sängerin
গসপেল, সাইকেডেলিক রক, মিউজিক্যাল, অপেরা হয়ে ডিস্কো - এই ছিল ডোনা’র যাত্রা...ছবি: AP

ডিস্কো মিউজিক বলতে যা বোঝায় এবং যদি কিছু বোঝায়, তবে তার চিরন্তন প্রতীক হয়ে থাকবেন ডনা সামার৷ সালটা ১৯৭৫৷ ‘লাভ টু লাভ ইউ বেবি' গানটির ধারণা আসে প্রথমে ডনা'র মাথায় এবং ডেমো হিসেবে সেটি রেকর্ডও করেন, কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে অন্য কোনো গায়িকাকে দিয়ে গাওয়াতে চেয়েছিলেন৷ ভাগ্যক্রমে তাঁর রেকর্ড লেবেল ক্যাসাব্লাঙ্কা রেকর্ডস ও প্রোডিউসার জর্জো মোরোডার তাতে রাজি হননি৷

ডনা'র নিজেরই গানের কথাগুলো সম্পর্কে দ্বিধা ছিল৷ যৌনতার আভাস সর্বত্র৷ কিন্তু তিনি নাকি নিজেকে একজন সিনেমার তারকা হিসেবে ভাবেন, যেমন মেরিলিন মনরো৷ স্টুডিও'র ফ্লোরে অন্ধকারে মাটিতে শুয়ে গানটি রেকর্ড করেন৷ গান-জীবন-যৌনতা এক হয়ে যায়৷ রেকর্ডটি হয় ডনা সামার'এর মার্কিন চার্টে প্রথম প্রবেশ এবং ১৯৭৫ থেকে ২০০৮ সাল অবধি তাঁর ১৯টি ড্যান্স হিটের মধ্যে প্রথম হিট৷

শেষমেষ এটুকু বলা দরকার যে, ডনা সামার'এর আসল নাম লা'ডনা এড্রিয়ান গেইন্স৷ ১৯৭২ সালে তিনি অস্ট্রিয়ার অভিনেতা হেলমুথ সমার'কে বিবাহ করেন এবং বিচ্ছেদের পরেও সমার নামটি বজায় রাখেন, তবে ইংরিজি সামার'এ বদলে নেন৷ সে সময় পাঁচ বছর মিউনিখে ছিলেন ডনা সামার, স্বচ্ছন্দে জার্মান বলতে পারতেন৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (এপি, এএফপি)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য