চলচ্চিত্র উৎসব – DW – 27.04.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলচ্চিত্র উৎসব

২৭ এপ্রিল ২০১২

নিউ ইয়র্কে ১১তম ট্রাইবেকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কার পেল ‘ওয়ার উইচ'৷ কংগোর শিশু যোদ্ধাদের কাহিনি নিয়ে তৈরি ছবিটি৷ ১৮ থেকে ২৯শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উৎসব৷

https://p.dw.com/p/14lxY
ছবি: dapd

‘ওয়ার উইচ' শুধু শ্রেষ্ঠ ছবি নয়, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারটিও লুফে নিয়েছে৷ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছে ১৫ বছর বয়স্ক রেচেল মুয়ানজা৷ ক্যানাডার মন্ট্রিয়াল শহরের ছবির পরিচালক কিম নুয়েন'এর ছবি ওয়ার উইচ৷

ছবির মূল নায়িকা রেচেলের জীবন কাহিনি খুবই নাটকীয়৷ বাস্তবে রেচেল বসবাস করতো পথে পথে৷ তার থাকার কোন নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না৷ ছবিতে রেচেল একটি গর্ভবতী টিন-এজারের ভূমিকায় অভিনয় করেছে৷ দেশের যুদ্ধ বা আন্দোলনে সময় রেচেল জীবনের পরিবর্তনগুলো তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে৷

Berlinale 2012 Regisseur Kim Nguyen und Schauspielerin Rachel Mwanza Preis Silberner Bär
বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে রেচেল মুয়ানজা ও কিম নুয়েনছবি: DW/S.Padori

একটি সাক্ষাৎকারে কিম নুয়েন বলেছেন, ‘‘যেই মুহূর্তে আমি রেচেলকে দেখি, আমি সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পারি যে ওর মধ্যে লুকিয়ে আছে অসম্ভব প্রতিভা৷ আমি পরে রেচেলকে প্রশ্ন করেছিলাম কীভাবে এত দ্রুত হাসি এবং কান্নার অভিনয় করতে পারে৷ এবং খুবই স্বাভাবিকভাবে সে হাসতে পারে এবং কাঁদতে পারে৷ আমাকে রেচেল উত্তর দিয়েছিল, যে তাঁকে শুধু অতীতের কথা মনে করতে হয়৷''

ফেস্টিভ্যালের জুরিরা বলেছেন ‘ওয়ার উইচ' হচ্ছে ঘৃণা এবং ভালবাসার সংমিশ্রণে তৈরি অসাধারণ একটি ছবি৷

ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছে ড্যারিয়েল আরেচাদা এবং হাবিয়ের নুনিয়েস ফ্লোরিয়ানকে৷ ছবির নাম ‘উনা নোচে' বা একটি রাত৷ ছবির পরিচালক লুসি মলি৷ ছবিতে দেখানো হয়েছে কয়েকজন কিউবান টিন-এজারদের জীবন৷ যারা চেষ্টা করে পালিয়ে অ্যামেরিকার ফ্লোরিডায় যাওয়ার চেষ্টা করে৷ তবে ছবির কাহিনী বাস্তবে ঘটেছে কারণ ট্রাইবেকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আসার পথে নুনিয়েস ফ্লোরিয়ান আরেকজন অভিনেতাকে নিয়ে মায়ামিতে উধাও হয়ে যান৷ সেখানেই ছবির শুটিং চলছিল৷ ‘উনা নোচে' ছবিটি শ্রেষ্ঠ সিনেমাটোগ্রাফির পুরস্কারও পেয়েছে৷

শ্রেষ্ঠ ডকুমেন্টারির পুরস্কার পেয়েছে ভারতীয় নিশা পাহুজার ‘দ্যা ওয়ার্ল্ড বিফোর হার'৷ ছবিতে ভারতীয় মেয়েদের দৈনন্দিন জীবন, তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে৷ দেখানো হয়েছে একদল মেয়ের লক্ষ্য হল মিস ইন্ডিয়া টাইটেল জেতা৷ তারা সেভাবে নিজেকে তৈরি করছে৷ এবং তাদের সঙ্গে দেখানো হয়েছে হিন্দু মৌলবাদী সমর্থকদের কার্যকলাপও৷

এছাড়া ইরাকিদের জীবন কাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবি ‘দ্য লিস্ট'৷ কার্ক জনসন ইরাক যুদ্ধের সময় ইরাকে ছিলেন৷ সেখানে তিনি দেখেছেন অনেক ইরাকি অ্যামেরিকানদের সঙ্গে কাজ করছে৷ যুদ্ধের পর এসব ইরাকিদের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে দেখা হয়৷ তাদের মেরে ফেলার এবং অপহরণ করার হুমকি দেয়া হয়৷ তারা বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করছে অ্যামেরিকায় যাওয়ার, তারা অপেক্ষা করছে ভিসার জন্য৷ পরিচালক বেথ মার্ফি জানান, কার্ক একজন অ্যামেরিকান হিরো৷ অ্যামেরিকার মানুষরা কী ভাবে তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে৷ অথচ বাস্তবে আমরা এমন কিছু কিন্তু করিনি৷ বেথ মার্ফি ছবির শুটিং করেছেন ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান, মিশর এবং অ্যামেরিকায়৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার (রয়টার্স, এপি)

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য