জার্সি স্পন্সর করে কোম্পানিগুলোর কী লাভ হয়?

ইউরো ২০২৪ চলছে৷ খেলাধুলার সামগ্রী তৈরি করা কোম্পানিগুলো বিভিন্ন জাতীয় দল ও ক্লাবের জার্সি স্পন্সর করে থাকে৷ তাদের আশা, এর ফলে তাদের ব্র্যান্ডের মূল্য বাড়বে, ভালো ভাবমূর্তি তৈরি হবে এবং জার্সি ছাড়াও তাদের খেলাধুলার অন্যান্য সামগ্রী বিক্রির হার বাড়বে৷ ছবিতে ইংল্যান্ড দলের জার্সিতে বুকের বা পাশে নাইকির লোগো দেখা যাচ্ছে৷

স্পোর্টস মার্কেটিং কনসালটেন্ট পেটার রোলমান ডিডাব্লিউকে জানান, বিশ্বে ফুটবলের সব জাতীয় দলের মধ্যে জার্মানির জার্সির স্পন্সর মূল্য সবচেয়ে বেশি৷ ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে জার্মানির জার্সি স্পন্সর করে আসছে আডিডাস৷ তবে ২০২৭ সাল থেকে স্পন্সর হতে যাচ্ছে নাইকি৷ জার্মানির দৈনিক হান্ডেলসব্লাট বলছে, আডিডাস জার্মান ফুটবল এসোসিয়েশনকে বছরে ৫০ মিলিয়ন ইউরো করে দিচ্ছে৷ তবে নাইকি দিবে তার দ্বিগুন৷

জাতীয় দলের চেয়ে একটি ক্লাব বছরে বেশি ম্যাচ খেলে৷ তাই ক্লাবের জার্সির স্পন্সর মূল্য জাতীয় দলগুলোর চেয়ে বেশি হয়ে থাকে৷ রোলমান জানান, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে আডিডাসের স্পন্সর মূল্য ১২০ মিলিয়ন ইউরো৷ রেয়াল মাদ্রিদের ক্ষেত্রে সেটি আরও বেশি, ১৫০ মিলিয়ন ইউরো৷ ছবিতে ম্যান ইউনাইটেডের রাশফোর্ডের পরা জার্সিতে আডিডাসের লোগো দেখা যাচ্ছে৷

রোলমান জানান, কোনো কোম্পানির পক্ষে জার্সি বিক্রি করে স্পন্সর মূল্যের পুরোটা তুলে আনা কখনই সম্ভব নয়৷ জার্সি স্পন্সর করার মূল্য উদ্দেশ্য কোম্পানির ভাবমূর্তি গড়ে তোলা বলে জানান তিনি৷ আডিডাস প্রধান বিয়র্ন গুল্ডেন সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে জনটাগসাইটুং পত্রিকাকে জানান, বাণিজ্যিক দিক দিয়ে চিন্তা করলে বলতে হয়, সব কোম্পানিরই লোকসান হয়৷

ইউরো ২০২৪ উপলক্ষ্যে বিনামূল্যে জার্সি বিতরণ করেছে জার্মানির মূল্য-তুলনাকারী প্ল্যাটফর্ম ‘চেক২৪’৷ একজন ব্যক্তি নাম, ঠিকানা, ইমেল ও টেলিফোন নাম্বার দিয়ে নিবন্ধন করলে তাকেই জার্সি দেওয়া হয়েছে৷ এভাবে ৫০ লাখ জার্সি দিয়েছে কোম্পানিটি৷ এতে ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছে৷ ফলস্বরূপ গত কয়েক সপ্তাহে জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ ছিল চেক২৪৷ এছাড়া কোম্পানিটি অনেক মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য পেয়েছে৷

চেক২৪ এর প্রচারণার জন্য আডিডাসের বিক্রি কমেছে কিনা তা নিশ্চিত নয়৷ তবে জরিপ বলছে, প্রতি পাঁচজনের একজন বলেছেন, তারা জার্মানির জাতীয় দলের জার্সি কিনতে চান৷ আডিডাসের মুখপাত্র অলিভার ব্রুগেন জেডডিএফ টিভিকে জানান, জাতীয় দলের সাদা হোম জার্সি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে৷ আর এবার যে গোলাপি রংয়ের অ্যাওয়ে জার্সি তৈরি করা হয়েছে সেটি ‘জার্মানির জার্সির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অ্যাওয়ে জার্সি’৷