চুক্তির মাধ্যমেই ব্রেক্সিট কার্যকর করার কথা বলছেন জনসন – DW – 11.09.2019
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চুক্তির মাধ্যমেই ব্রেক্সিট কার্যকর করার কথা বলছেন জনসন

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সংসদের অধিবেশন মুলতুবির পর ব্রিটেনে সরকার ও বিরোধী পক্ষ যে যার মতো ব্রেক্সিটের প্রস্তুতি চালাচ্ছে৷ তবে সেই প্রক্রিয়াকে ঘিরে ধোঁয়াশা কাটছে না৷ প্রধানমন্ত্রী জনসন এখনো চুক্তির আশার কথা বলছেন৷

https://p.dw.com/p/3PNkn
ব্রেক্সিটের পথে ব্রিটেনের পদে পদে বাধা
ছবি: Getty Images/AFP/T. Akmen

পাঁচ সপ্তাহের জন্য সংসদ মুলতুবি করে আপাতত ‘পথের কাঁটা' দূর করেছেন বরিস জনসন৷ সব বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও তিনি যে কোনো মূল্যে ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বার করে আনতে বদ্ধপরিকর৷ তাঁর মতে, একমাত্র এভাবেই মানুষের আস্থার ভিত্তিতে গণভোটের রায় কার্যকর করা যাবে৷ কিন্তু তাঁর সেই লক্ষ্যের পথে এখনো অনেক বাধা রয়েছে৷

মাত্র পাঁচ দিনের অধিবেশনে ব্রিটিশ সংসদ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে আইন প্রণয়ন করেছে৷ বরিস জনসন সংসদের সেই আইন মানবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় দূর হচ্ছে না৷ মঙ্গলবার তিনি নতুন ব্রেক্সিট চুক্তির লক্ষ্যে উদ্যোগ আরও জোরদার করার কথা ঘোষণা করেন৷ জনসন সোমবারও আলোচনায় অগ্রগতির দাবি করলেও ইইউ জানিয়েছে, যে ব্রিটিশ সরকার এখনো কোনো স্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য বিকল্প পেশ করে নি৷

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার জোটসঙ্গী উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের ডিইউপি দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেনের সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার বিকল্প নিয়ে তাঁদের কথা হয়েছে৷ জনসনের পূর্বসূরী টেরেসা মে ও ইইউ-র মধ্যে প্রাথমিক আলোচনায় শুধু উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশকে ইইউ-র সাধারণ বাজারে রেখে দেবার যে প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছিল, তার ভিত্তিতে ইইউ-র সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা অবশ্য দুই পক্ষই উড়িয়ে দিয়েছে৷ ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মধ্যে কোনো রকম বিভাজন মানতে তারা প্রস্তুত নয়৷

মঙ্গলবার সরকার ও বিরোধী পক্ষের কয়েকজন সংসদ সদস্য মিলে চুক্তির মাধ্যমে ব্রেক্সিট কার্যকর করার এক উদ্যোগ শুরু করেছেন৷ ইইউ-র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা ব্যর্থ হলে বর্তমান ব্রেক্সিট চুক্তি সংসদে অনুমোদন করা যায় কিনা, সেই বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন৷

প্রশ্ন উঠছে, এই প্রেক্ষাপটে সরকার ও বিরোধী পক্ষের সামনে কোন কোন পথ খোলা রয়েছে? চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে বিরোধীরা আইন প্রণয়ন করলেও সরকার নানাভাবে সেই আইন উপেক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ বোঝাপড়া সম্ভব না হলে আগামী ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসন ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করতে বাধ্য হবেন৷ কিন্তু তার পূর্বশর্ত হিসেবে ইইউ নির্দিষ্ট কারণ জানতে চাইবে৷ তা না হলে ইইউ সেই আবেদন নাকচ করতে পারে৷ ব্রিটিশ সরকার এভাবেও ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করার চেষ্টা করতে পারে৷ এছাড়া অন্যান্য পথেও এই আইন উপেক্ষা করার বিষয়ে সরকার ভাবনাচিন্তা করছে৷

সংসদে দু-দুবার আগাম নির্বাচনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও বরিস জনসন হাল ছাড়তে প্রস্তুত নন৷ তিনি ভোটারদের কাছে গিয়ে প্রচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ আচমকা পদত্যাগ করে সংসদের জরুরি অধিবেশন ডেকে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করতে পারেন তিনি৷ তবে সে ক্ষেত্রে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক জাতীয় ঐক্য সরকার গড়ার চেষ্টা চালাতে পারে৷ ফলে জনসন সেই ঝুঁকি নাও নিতে পারেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)