গোলান আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়া হবে, হুমকি ইসরায়েলের – DW – 29.07.2024
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

গোলান আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়া হবে, হুমকি ইসরায়েলের

২৯ জুলাই ২০২৪

গত শনিবার ইসরায়েলের গোলান পাহাড়ে হেজবোল্লা আক্রমণ চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় ১২ জনের মৃত্য়ু হয়েছিল।

https://p.dw.com/p/4iqIU
ইসরায়েলে হেজবোল্লার আক্রমণ
ইসরায়েলের হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছেছবি: Ayal Margolin/JINI via XinHua/dpa/picture alliance

রোববার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসে। নিরাপত্তা বিষয়ক সেই বৈঠকে গোলান আক্রমণ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। কীভাবে এর জবাব দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছএ বলে ইসরায়েলের গণমাধ্য়ম দাবি করেছে।

বৈঠকের পর মন্ত্রিসভার অফিস সমাজ-মাধ্য়মে একটি পোস্ট করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'বৈঠক শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, যে কোনো সময় তারা হেজবোল্লাকে জবাব দিতে পারেন।'

গোলান হাইটস কী

ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে অবস্থিত গোলান পাহাড়। ইসরায়েল এই এলাকা তাদের বলে দাবি করে। তবে লেবাননের দাবি, ইসরায়েল ওই অঞ্চল দখল করে রেখেছে। হেজবোল্লা শনিবার ওই পাহাড়ে আক্রমণ চালায়। একটি আরব অধ্য়ুষিত অঞ্চলে তারা আক্রমণ করে। ঘটনায় বেশ কিছু শিশুর মৃত্য়ু হয়েছে।

হেজবোল্লার আক্রমণের পরেই সারারাত ধরে লেবাননে হেজবোল্লার ঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। কিন্তু তা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। রোববার সে কারণেই তারা বৈঠকে বসে। সেখানে স্থির হয়, হেজবোল্লার উপর আরো আক্রমণ চালানো হবে। সে জন্য় নির্দিষ্ট পরিকল্পনা হয়েছে বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সে কথা জানানো হয়েছে।

বিশ্বনেতাদের আপত্তি

আন্তর্জাতিক নেতারা অবশ্য ইসরায়েলকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছে। ইসরায়েলকে সংযত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা এই পরামর্শ মানতে নারাজ। তারা মনে করে, এই মুহূর্তে হেজবোল্লার বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেয়া উচিত।

যুক্তরাজ্য়ের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার প্য়ারিসে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইস্য়াক হারজগের সঙ্গে দেখা করেছেন। স্টারমার বলেছেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার অবশ্যই আছে। কিন্তু এই লড়াই আর বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। সংঘর্ষবিরোতির ব্য়বস্থা করা দরকার। আলোচনার টেবিলে বসা দরকার। কীভাবে আলোচনার মাধ্য়মে রাজনৈতিক সমাধানসূত্রে পৌঁছানো যায়, তা বোঝা দরকার।

এর্দোয়ানের হুমকি

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান রোববার বলেছেন, প্রয়োজনে তুরস্ক ইসরায়েলে ঢুকবে। এই পরিস্থিতি আর চলতে দেয়া যায় না। তবে তুরস্ক কীভাবে এই হস্তক্ষেপ করবে, তা স্পষ্ট করেননি এর্দোয়ান। তিনি বলেছেন, যেভাবে আমরা কারাবাখে হস্তক্ষেপ করেছি, যেভাবে লিবিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছি, সেভাবেই ইসরায়েলের এই কাজে হস্তক্ষেপ করা হবে। ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েল যে আচরণ করছে, তা আর মনে নেয়া যাচ্ছে না।

বস্তুত, এর আগে একাধিকবার ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের সমস্যার রাজনৈতিক সমস্যার জন্য় মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছে তুরস্ক। তবে এবার কঠোর হুমকি দিলেন এর্দোয়ান। ইসরায়েল গাজা আক্রমণের পর থেকেই সমালোচনায় মুখর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। প্রকাশ্য়ে একাধিকবার তিনি ইসরায়েলের কাজের নিন্দা করেছেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)