করোনার গ্রাসে জার্মানি, রাষ্ট্র অসহায় – DW – 15.04.2021
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার গ্রাসে জার্মানি, রাষ্ট্র অসহায়

১৫ এপ্রিল ২০২১

জার্মানিতে দৈনিক সংক্রমণের হার প্রায় ৩০ হাজার ছুঁতে চলেছে৷ অথচ আইন বদলে দেশজুড়ে  এমারজেন্সি ব্রেক চালু করার উদ্যোগ বাধার মুখে পড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3s3ws
Deutschland Coronavirus - Intensivstation
ছবি: Lennart Preiss/AFP/Getty Images

করোনা ভাইরাস সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধীর গতি যে পরোয়া করে না, তা বার বার স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার আবার দ্রুত বেড়ে চলেছে৷ বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা ২৯ হাজার ৪২৬৷ অর্থাৎ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হার ১৬০ পেরিয়ে গেল৷ টিকাদান কর্মসূচির ধীর গতি ও করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে ঢিলেমির মতো দুর্বলতার পাশাপাশি সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপে বিলম্বকেও এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হচ্ছে৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ফেডারেল সরকারের হাতে বাড়তি ক্ষমতা আনার লক্ষ্যে সংক্রমণ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের উদ্যোগ শুরু করেছেন৷ যত দ্রুত সম্ভব সেই প্রক্রিয়া শেষ করে আইন কার্যকর করার লক্ষ্য স্থির করলেও কার্যক্ষেত্রে সেই উদ্যোগ বাধার মুখে পড়ছে৷ নীতিগতভাবে দেশজুড়ে এমারজেন্সি ব্রেক চালু করার পক্ষে ঐকমত্য দেখা গেলেও খুঁটিনাটী বিষয়গুলি নিয়ে দরকষাকষী চলছে৷ মন্ত্রিসভা আইন সংশোধনীর খসড়া অনুমোদন করার পরেও বিতর্ক দূর হচ্ছে না৷ সংক্রমণের হার নির্দিষ্ট মাত্রা পেরোলে রাতে কারফিউ জারির মতো পদক্ষেপে রদবদলের দাবি বাড়ছে৷ জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে কড়া আইনে কোনো লাভ হবে না বলে কিছু নেতা মন্তব্য করেছেন৷  সংক্রমণ সংক্রান্ত কোন তথ্যকে মাপকাঠি করা উচিত, সে বিষয়েও মতভেদ দেখা যাচ্ছে৷

এমন তর্কবিতর্কের ফলে সংসদের অনুমোদন প্রক্রিয়ার জন্য আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷ তবে ঐকমত্যের খাতিরে আইনের শর্তগুলি আরও দুর্বল করতে হলে সংক্রমণের গতি কমানো যাবে না বলে অনেকে মনে করছেন৷ বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার বলেছেন, এমারজেন্সি ব্রেক কার্যকর হলেও জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের ‘তৃতীয় ঢেউ' থামানো সম্ভব হবে না৷ তার মতে, বাড়তি পদক্ষেপ নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা উচিত৷

এদিকে রাজনৈতিক চাপান উতোরের মাঝে জার্মানির হাসপাতালগুলিতে পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে৷ ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ তাদের গড় বয়সও আগের তুলনায় অনেক কম৷ ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সিদের মধ্যে করোনার মারাত্মক প্রভাব দেখা যাচ্ছে৷ বয়স্কদের একটা বড় অংশ করোনা টিকা পেয়ে যাওয়ায় কমবয়সিদের ক্ষেত্রে করোনার তীব্র প্রভাব বেড়ে চলেছে৷

করোনা সংক্রমণের হার কমাতে জার্মানির শ্রমিক-কর্মীদের নিয়মিত পরীক্ষার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগও চূড়ান্ত সাফল্য পাচ্ছে না৷ কিছু কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় এমন পরীক্ষা চালু করলেও বাকিরা এখনো সেই পথে যেতে প্রস্তুত নয়৷ অনেকে করোনা পরীক্ষার কিটের অভাবের অভিযোগ করছেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য