ওবামার মধ্যপ্রাচ্য সফর – DW – 22.03.2013
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামার মধ্যপ্রাচ্য সফর

২২ মার্চ ২০১৩

ডেড সি স্ক্রলস, ইয়াদ ভাশেম স্মৃতিসৌধ, জিওনিজমের প্রতিষ্ঠাতা টেওডোর হ্যার্ৎসল’এর সমাধি: ইসরায়েলের সুদীর্ঘ অতীতের বিভিন্ন অধ্যায় উঠে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম ইসরায়েল সফরে৷

https://p.dw.com/p/182bP
ছবি: Reuters

সফরের এই প্রতীকি দিকটি পরিকল্পিত, কেননা ওবামার এই ‘চার্ম অফেন্সিভ' বা ইসরায়েলি জনগণের মন জয়ের প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানই ছিল তাই৷ ২০০৯ সালে ওবামা কায়রোয় যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তাতে তিনি ইসরায়েলের অস্তিত্বের কারণ হিসেবে শুধু হলোকস্টের কথা বলেন৷ ইসরায়েলিরা সেজন্য তাঁকে – সম্ভবত এই সফর অবধি – ক্ষমা করেনি৷

বার্তা

এবার ওবামা ইসরায়েলের সুদীর্ঘ অতীতের বিভিন্ন প্রতীকি স্থান পরিদর্শন করে যে বার্তা রাখতে চেয়েছেন, তা তিনি বৃহস্পতিবার ইয়াদ ভাশেম হলোকস্ট মেমোরিয়ালে নিজের মুখেই বলেছেন: ‘‘তোমাদের এই সুপ্রাচীন দেশে সারা বিশ্বকে শুনিয়ে বলা যায়: ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হলোকস্টের কারণে নয়৷ বরং ইসরায়েল নামের ইহুদি রাষ্ট্রটি থাকার অর্থ, হলোকস্ট আর কোনোদিন ঘটবে না৷''

আধুনিক জিওনিজমের প্রতিষ্ঠাতা টেওডোর হ্যার্ৎসল পরলোকগমন করেন ১৯০৪ সালে, ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টি হবার অনেক আগে৷ তাঁর সমাধিতে ইহুদি প্রথায় পাথর রেখেছেন ওবামা, নিহত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইৎশাক রাবিনের সমাধিতেও রেখেছেন৷ এবং সে পাথর নাকি ওয়াশিংটনের মার্টিন লুথার কিং স্মৃতিসৌধের প্রাঙ্গণ থেকে আনা৷ সবই প্রতীকি৷

Obamas Rede vor Studenten in Israel
ওবামার বক্তব্য শুনছেন শিক্ষার্থীরাছবি: Reuters

স্তর

ইয়াদ ভাশেম হলোকস্ট স্মৃতিসৌধে ওবামা যেভাবে তাঁর পুষ্পার্ঘ রেখেছেন, সেই দৃশ্য তাঁর এই সফরে আবেগ-অনুভূতির এক নতুন স্তর সংযোগ করবে, বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা৷ আরো বড় কথা, ওবামা বুধবার জেরুসালেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতি যে শান্তির আবেদন রেখেছেন৷ ওবামা তাদের বলেছেন, অধিকৃত এলাকার ফিলিস্তিনিদের অবস্থাটা একবার ভেবে দেখতে৷ এই ছাত্ররাই তো তাদের নেতাদের ওপর চাপ দেবে, ঝুঁকি নিয়ে হলেও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের ব্যবস্থা করতে৷

প্রত্যাশা ও হতাশা

নয়তো এবার ওবামা সরাসরি অধিকৃত এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধের ডাক দেননি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম কর্মকালে তিনি যা একাধিকবার করেছিলেন৷ তার একটি ফলশ্রুতি হয়েছে এই যে, ফিলিস্তিনিরা হতাশ এবং ক্ষুণ্ণ হয়েছে, ওবামা বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরে গিয়ে যেটা বুঝতেও পেরেছেন৷ ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাশা ছিল, ওবামা বসতি নির্মাণ বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের উপর আরো বেশি চাপ সৃষ্টি করবেন৷

তবে ওবামার এ সফর ছিল একান্তভাবে ইসরায়েল সফর, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ সত্ত্বেও৷ ওবামা যে লেবাননস্থিত হেজবোল্লাহ'কে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করার ডাক দিয়েছেন, সেটাও ঐ যুক্তি থেকে৷ তিনি এবার এসেছেন ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এবং বিশেষ করে তাঁর নিজের সম্পর্কের একটা নতুন সংজ্ঞা ও মাত্রা প্রদান করতে৷ এবং সে কাজে যে তিনি সফল হয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে বলা চলে৷

এসি / এসবি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য