ইসলামাবাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তালেবান – DW – 22.11.2011
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলামাবাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তালেবান

২২ নভেম্বর ২০১১

বেশ কিছুদিন যাবতই শোনা যাচ্ছিল যে, পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহী তালেবান জঙ্গিরা৷ কিন্তু, সে আলোচনা যে গত প্রায় তিন মাস ধরে শুরু হয়ে গেছে – তা জানা ছিল না৷ অথচ সোমবার এমন দাবিই করলেন এক তালেবান নেতা৷

https://p.dw.com/p/13ERM
A Taliban suicide bomber flattened a Pakistani police station on Wednesday, killing eight people in the latest brazen assault on security forces to avenge the US killing of Osama bin Laden.
পাকিস্তানে তালেবান হামলার চিহ্নছবি: DW

পাকিস্তানের উগ্র ইসলামপন্থি জঙ্গি দল তেহরিক-ই-তালেবান'এর শীর্ষস্থানীয় কম্যান্ডারের এহেন দাবি বেশ চমকে দিয়েছে রাজনীতিকদের৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দেশটির বিতর্কিত দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান এলাকায় শান্তি স্থাপন বিষয়ে কয়েক মাস যাবত কথা বলছে জঙ্গি তালেবান এবং পাকিস্তান৷ জানা গেছে, আল-কায়েদা'র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা তালেবান মুভমেন্ট অব পাকিস্তান (টিটিপি) – দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে শান্তি স্থাপনের শর্ত হিসেবে ইতিমধ্যেই তাদের মূল দাবিগুলি উপস্থাপন করেছে৷ এদের মধ্যে পাকিস্তানে আটক বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়ার কথাও আলোচিত হয়েছে বলে প্রকাশ৷

পাকিস্তান অবশ্য, খুব স্বাভাবিকভাবেই এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো সরকারি বিবৃতি দেয় নি৷ যদিও, কয়েক মাস আগেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছিলেন যে, তাঁর সরকার হাক্কানি নেটওয়ার্কসহ তালেবান জঙ্গিদের সব গ্রুপের সঙ্গেই শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত৷

In this photo taken on July 28, 2011, Taliban No 2 commander Waliur Rehman, centre , flanked by militants, talks to the Associated Press in Shawal area of South Waziristan along the Afghanistan border in Pakistan. The Pakistani Taliban has custody of two kidnapped Swiss tourists, but is willing to free them if the U.S. releases a female Pakistani scientist convicted of trying to kill Americans, Rehman told The Associated Press. The couple's identity has not been disclosed. (AP Photo/Ishtiaq Mahsud)
তালেবানের কয়েকজন নেতা-কর্মী (ফাইল ছবি)ছবি: AP

এদিকে পাকিস্তানে বিদ্রোহী তৎপরতার অবসান ঘটাতে, জঙ্গিদের সঙ্গে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টার কথা আগেই বলে আসছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ শুধু দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানেই নয়, অ্যামেরিকা চাইছিল উত্তরের পরিস্থিতিরও একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান৷ অথচ সে সময়, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেছিলেন, তালেবান জঙ্গিরা অস্ত্র সমর্পণ করার পরই কেবল ইসলামাবাদ তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করবে৷ তিনি বলেন, ‘‘যে কোনো ধরনের শান্তি আলোচনার জন্য প্রথমে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে তালেবানকে৷ তারা যদি মনে করে হামলা অব্যাহত রাখবে এবং আলোচনাও করবে – তাহলে তা কখনোই হবে না৷''

অথচ বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান'এর সঙ্গে এর মধ্যেই গোপনে তিন দফা আলোচনা করেছে ইসলামাবাদ৷ কিন্তু এই গোপনীয়তা রক্ষার কারণ কী? টিটিপি কম্যান্ডারের কথায়, ‘‘এই শান্তি আলোচনায় আমরা কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ চাইছিলাম না৷ তাছাড়া, পাকিস্তান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করার ফলে, আমরা যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম৷''

এর আগেও শান্তি আলোচনায় তৃতীয় পক্ষ হিসেবে অ্যামেরিকা নয়, আরব বিশ্বের কথা উঠে আসে৷ তবে সমস্যা হচ্ছে, জঙ্গি দমনে এখনও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিরাট পরিমাণ অর্থ সাহায্য হিসেবে পেয়ে থাকে পাকিস্তান৷ তাই এবার, তাদের অগোচরে পাকিস্তান এধরনের শান্তি আলোচনা চালানোয় – যুক্তরাষ্ট্র যে সেটাকে ঠিকভাবে দেখবে না – তা বলাই বাহুল্য!

উল্লেখ্য, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে গঠিত হয়৷ পাকিস্তানে চালানো বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী হামলার জন্য টিটিপি'কে দায়ী করে আসছে সরকার৷ ঐ সব হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়৷ এমনকি গত বছর, টিটিপি'কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে এর দু'জন শীর্ষ নেতাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান