ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতিতে ৯০ শতাংশ মতৈক্য: ব্লিংকেন – DW – 06.09.2024
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতিতে ৯০ শতাংশ মতৈক্য: ব্লিংকেন

৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন জানিয়েছেন, এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে পূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছানোর পুরো দায় ইসরায়েল ও হামাসের।

https://p.dw.com/p/4kL5y
গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের পর কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। ছবি: Ayman Al Hassi/REUTERS

ব্লিংকেন দুই পক্ষকে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন বাকি ১০ শতাংশ মতৈক্যে পৌঁছায় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে।

তিনি জানিয়েছেন, ''৯০ শতাংশ মতৈক্য হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হওয়া বাকি আছে।''

তার যুক্তি, ''এটা এখন ইসরায়েল ও হামাসের দায়িত্ব মতৈক্যে পৌঁছানো, লড়াই বন্ধ করা এবং বন্দিদের মুক্তি দেয়া।''

ব্লিংকেন জানিয়েছেন, ''যে বিষয়ের এখনো ফয়সালা হয়নি, তার মধ্যে আছে ফিলাডেলফি করিডোর, যা গাজা ভূখণ্ড ও মিশরের সীমান্তে পড়ে। তাছাড়া কীভাবে পণবন্দি ও ইসারেয়েলের জেলে বন্দিরা মুক্তি পাবেন, সেটা নিয়েও বিরোধ রয়েছে।''

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ''আমি আশা করছি, মধ্যস্থতাকারী মিশর ও কাতার আমাদের চিন্তাভাবনার কথা হামাসকে জানাবে। আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলব। তারপর আমরাও দেখব, কেমন করে বাকি বিষয়গুলি নিয়ে একমত হওয়া যায়।''

মার্কিন নিউজ চ্যানেল ফক্স-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ''এখনও চুক্তি হওয়ার মতো অবস্থা আসেনি।''

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই সংঘাতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩-এর ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে এক হাজার দুইশ মানুষকে হত্যা করে, ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। ইসরায়েল প্রত্যাঘাত করে এবং গাজায় ৪০ হাজার আটশ মানুষ মারা গেছেন বলে হামাস জানিয়েছে।

হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি-সহ বেশ কয়েকটি দেশ।

ইসরায়েল যাচ্ছেন বেয়ারবক

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক শুক্রবার ইসরায়েলে যাচ্ছেন। তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাংকেও যাবেন।

বৃহস্পতিবার বেয়ারবক তার মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন। তিনি সৌদি আরবের রিয়াধে গেছেন।

ডিডাব্লিউর সাংবাদিক নিনা হ্যাসে কূটনৈতিক সূত্র উদ্ধৃত করে জানাচ্ছেন, বেয়ারবরক সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নিজেদের এলাকা বজায় রেখে 'টু স্টেট' সমাধানের উপরেই গুরুত্ব দিতে হবে।

এরপর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্ডন যান। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন, গাজায় মানবিক সাহায্যের জন্য জার্মানি বাড়তি পাঁচ কোটি ইউরো দেবে। তিনি জর্ডনকেও বাড়তি এক কোটি ২৭ লাখ ইউরো দেয়ার কথা জানিয়েছেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)