ইউক্রেনে রুশপন্থিদের হামলা – DW – 24.06.2014
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনে রুশপন্থিদের হামলা

২৪ জুন ২০১৪

ইউক্রেনের অস্ত্রবিরতি উপেক্ষা করে রুশপন্থি বিদ্রোহীরা সেদেশের সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে৷ ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীর দাবি, পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি সেনাঘাঁটিতে সোমবার রাত থেকে গোলা-গুলি শুরু করেছে রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা৷

https://p.dw.com/p/1CP8H
ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/AP Photo

এই গোলাগুলিতে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি৷ কিয়েভ সরকারের এক মুখপাত্র তাঁর ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘রুশপন্থিরা অস্ত্রবিরতি ভেঙে ইউক্রেনের নিরাপত্তারক্ষীদের উপর গুলি চালিয়েছে৷ বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর স্লাভিয়ানস্ক এর কাছে ইউক্রেনের সেনাঘাঁটিতে গ্রেনেড লঞ্চার এবং মর্টার নিয়ে হামলাও চালাচ্ছে বিদ্রোহীরা৷''

তিনি আরো জানান, ‘‘গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট অস্ত্র বিরতি ঘোষণার পর ইউক্রেনের সরকারি বাহিনী কোনো ধরনের সেনা অভিযানে অংশ নেয়নি৷''

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো দেশের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থিদের বিদ্রোহের অবসান ঘটাতে এক শান্তি পরিকল্পনা পেশ করেন৷ তারই রূপরেখা তুলে ধরা হয়ে লুক্সেমবুর্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে৷ তার আওতায় এক সপ্তাহের একতরফা যুদ্ধবিরতি শুরু করে ইউক্রেনের সরকার৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রতিক্রিয়া

লুক্সেমবুর্গের সেই সম্মেলনে ইইউ-ভুক্ত ২৮টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউক্রেন সরকারের অস্ত্রবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন দেয়ার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান৷ রাশিয়া এতে সমর্থন না দিলে আরো কঠোর অবরোধ আরোপের হুমকিও দেন তাঁরা৷ রাশিয়ার উদ্দেশ্যে তাঁদের বার্তা – সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের জন্য অস্ত্র ও যোদ্ধা পাঠানো বন্ধ করতে হবে৷ সীমান্তে রুশ সৈন্যসংখ্যাও কমাতে হবে৷

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, ‘‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের উচিত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখানো৷''

তবে এরই মধ্যে সম্মেলনে রাশিয়ায় অবরোধ আরোপের ‘ফেজ-৩' নিয়েও আলোচনা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ব্রাসেলসে এই ইস্যুটি নিয়ে আরো আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে৷

হেগ বলেছেন, ‘‘শুক্রবারের মধ্যে আমরা নিশ্চিত হয়ে যাব রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া আসলে কি? বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আমরা প্রস্তুত এবং রাশিয়ার কোনো একজন মানুষেরও এ বিষয়ে সন্দেহ থাকা উচিত নয়৷''

কিয়েভে অবস্থানরত জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, ‘‘এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ইউক্রেনের জন্য এই সপ্তাহটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ৷''

ওদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের অংশবিশেষ দখল করায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে ক্রাইমিয়া ও সেভাস্টোপল থেকে আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ৷ এছাড়া, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির পাশাপাশি ইইউ-র সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগামী শুক্রবার পোরোশেঙ্কো এক চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছেন৷ পোরোশেঙ্কো ইউক্রেনের পূ্র্বাঞ্চলের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত৷ কিন্তু রুশপন্থি বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কোনো রকম সংলাপের বিরোধী তিনি৷

উল্লেখ্য, ২৭শে জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহের একতরফা যুদ্ধবিরতি শুরু করে ইউক্রেনের সরকার৷ শুধু তাই নয়, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে রাশিয়াকে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের জন্য অস্ত্র ও যোদ্ধা পাঠানো বন্ধ করার আহ্বানও জানায় তারা৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য