অস্ত্র ক্রয় – DW – 27.02.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ত্র ক্রয়

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২

বিশ্ব নেতারা সারা বছর জুড়ে যুদ্ধ ও অস্ত্র বিরোধী নানা কর্মকৌশল আর চুক্তির কথা বললেও অস্ত্র কেনাবেচার খাতে খরচ এখনও বেড়ে চলেছে৷ প্রতিবেদনে দেখা গেছে এক্ষেত্রে অ্যামেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর অগ্রগামী অবস্থান৷

https://p.dw.com/p/14Aoh
©Kyodo/MAXPPP - 11/01/2011 ; BEIJING, China - Photo shows what appear to be North Korea's ''Musudan'' intermediate-range ballistic missiles at a military parade in Pyongyang on Oct. 10, 2010, the 65th anniversary of the founding of the ruling Workers' Party of Korea. U.S. Defense Secretary Robert Gates told journalists in Beijing on Jan. 11, 2011, that the North could pose a direct threat to the United States within five years if it continues to develop intercontinental ballistic missiles and expand its nuclear weapons capability. (Kyodo)
উত্তর কোরিয়ার সামরিক মহড়াছবি: picture-alliance/dpa

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট - সিপ্রি সোমবার জানালো ২০১০ সালে সারা বিশ্বের অস্ত্র উৎপাদন ও কেনাবেচার তথ্য৷ এতে দেখা যাচ্ছে যে, ২০০৯ সালের চেয়ে ২০১০ সালে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির হার বেড়েছে এক শতাংশ৷ ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি সত্ত্বেও সামরিক খাতে খরচ বৃদ্ধির হার এখনও অব্যাহত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে৷ তবে সিপ্রি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২০১০ সালেও সামরিক খাতে খরচ ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে৷ তবে আগের বছরের চেয়ে এ হার কিছুটা ধীর গতির৷''

২০১০ সালে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের কাজে খরচ হয়েছে ৪১১ বিলিয়ন ডলার৷ কিন্তু ২০০৯ সালে এই খাতে খরচ বৃদ্ধির হার ছিল সাত শতাংশ এবং এর মোট পরিমাণ ছিল ৪০৬ বিলিয়ন ডলার৷ সিপ্রি'র অস্ত্র উৎপাদন শিল্প বিশেষজ্ঞ সুসান জ্যাকসন বলেছেন, ‘‘২০১০ সালের পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর অন্যান্য শিল্পে টানাপোড়েন দেখা দিলেও সামরিক খাতে একই হারে খরচ ও বিনিয়োগ অব্যাহত রয়েছে৷''

In this Thursday, Dec. 9, 2010 photo the Yekaterinburg nuclear submarine is in Gadzhiyevo in the Murmansk region of Russia. A massive fire engulfed a Russian nuclear submarine at an Arctic shipyard Thursday, but there has been no radiation leak, or injuries, officials said. The fire at the Yekaterinburg nuclear submarine occurred while it was in dock for repairs at the Roslyakovo shipyard. The Yekaterinburg is a Delta-IV-class nuclear-powered submarine that normally carries 16 nuclear-tipped intercontinental ballistic missiles. Defense Ministry spokesman Igor Konashenkov told The Associated Press that all weapons had been unloaded from the sub and its reactor had been shutdown to safety before the repairs. (Foto: Roustem Adagamov/AP/dapd)
রাশিয়ার পারমাণবিক ডুবোজাহাজছবি: dapd

অস্ত্র উৎপাদনে শীর্ষে থাকা একশ‘টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক৷ আর ৩০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলের দেশগুলোতে৷ সবার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন৷ তারা অস্ত্র বিক্রি করেছে ৩৫.৭ বিলিয়ন ডলারের৷ দ্বিতীয় স্থানে যুক্তরাজ্যের বিএই সিস্টেমস৷ আর তৃতীয় স্থানে মার্কিন সংস্থা বোয়িং৷ ইউরোপের আরো দু'টি বড় প্রতিষ্ঠান ইএডিএস এবং ইটালীয় ফিনমেকানিকা রয়েছে যথাক্রমে সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে৷ শীর্ষ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকা ইউরোপীয় গোষ্ঠীর সংখ্যা ২০০৯ সালের চেয়ে তিনটি কমেছে৷

সিপ্রি'র হিসাবে, শীর্ষ দশটি প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ অস্ত্র উৎপাদন ও বিক্রি করেছে তা সারা বছরের মোট পরিমাণের অর্ধেকেরও বেশি৷ এদিকে, সিপ্রি জানিয়েছে, সারা বিশ্বের অস্ত্র ক্রয় ও সামরিক খাতে খরচের হিসাবের মধ্যে চীনের কোন হিসাব অন্তর্ভুক্ত নয়৷ কারণ চীনের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোন সঠিক ও তুলনামূলক তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি সিপ্রি৷ একই ঘটনা ঘটেছে কাজাখস্তান এবং ইউক্রেনের ক্ষেত্রেও৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য