সৌদি আরবে ম্যার্স আতঙ্ক – DW – 23.05.2014
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি আরবে ম্যার্স আতঙ্ক

২৩ মে ২০১৪

আন্তর্জাতিক গবেষকরা ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই ম্যার্স ভাইরাসের কথা জেনেছিলেন৷ তাসত্ত্বেও এই ভাইরাস সম্পর্কে তথ্যের ঘাটতি রয়ে গেছে৷ অভিযোগ উঠেছে যে, সৌদি আরব নাকি এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করছে না৷

https://p.dw.com/p/1C4d3
MERS-Virus
ছবি: Reuters

বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েক লাখ মানুষ বাস করেন সৌদি আরবে৷ মুসলমানদের আবশ্যকীয় ইবাদত হজ উপলক্ষ্যেও প্রতি বছর অনেক মানুষ সেদেশ ভ্রমণ করেন৷ এরকম এক দেশে এমন এক ভাইরাস ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে, যার সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গবেষক, বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসকরা এখনো খুব বেশি কিছু জানতে পারেননি৷

শুধুমাত্র সৌদি আরবেই ১৭৫ জনের বেশি ম্যার্স ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন৷ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও মালয়েশিয়া, গ্রিস, লেবানন, এমনকি ব্রিটেন হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছে গেছে এই ভাইরাস৷

MERS-Virus in Saudi-Arabien
সৌদি আরবে ১৭৫ জনের বেশি ম্যার্স ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেনছবি: Fayez Nureldine/AFP/Getty Images

এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের গবেষণায় যা জানা গেছে তা হচ্ছে, ম্যার্সের সঙ্গে সার্স ভাইরাসের কিছুটা মিল রয়েছে৷ মূলত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাতেই ম্যার্সের প্রকোপ বেশি৷ এছাড়া শরীরের সংস্পর্শ, হাঁচি বা কাশির মাধ্যমেও এ রোগ মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ সারা বিশ্বে ম্যার্সে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৬৫০ জনের বেশি৷ সৌদি আরবে প্রতি নিয়তই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷ আর রোগীদের প্রায় ৩০ শতাংশের মতো মৃত্যুবরণ করছে৷

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটি সম্পর্কে সৌদি আরবের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া গেলে গত দু'বছরের মধ্যেই সেটির সংক্রমণ এবং প্রাণহানি রোধ সম্ভব হতো৷ কিন্তু সৌদি আরব এ সংক্রান্ত সহায়তার প্রস্তাব বারংবার ফিরিয়ে দিয়েছে বলেই দাবি ম্যার্স ভাইরাস নিয়ে কাজ করা গবেষকদের৷

ব্রিটেনের রয়েল ইন্সটিটিউটট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স-এর বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ডেভিড হেম্যান এই বিষয়ে বলেন, ‘‘ম্যার্স ভাইরাসে মানুষ কিভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তা এখনো জানতে না পারাটা আর আক্রান্তদের ভোগান্তি এবং মৃত্যু দেখাটা অত্যন্ত হতাশার ব্যাপার৷ আমরা আরো তথ্য পেলে হয়ত এগুলো ঠেকানো যেত৷''

সোদি উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী জিয়াদ মেমিশ অবশ্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ শুনে ‘বিস্ময়' প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বরং দাবি করেন, ম্যার্স প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবেই কাজ করা হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে নিজের দেশের অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেন মেমিস৷

এখানে লেখা প্রয়োজন, ম্যার্স ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য ইন্টারনেটে প্রকাশ করায় জেদ্দার ড. সোলেমান ফাকি হাসপাতালের এক চিকিৎসক ইতোমধ্যে চাকরিচ্যুত হয়েছেন৷ অনুজীববিজ্ঞানী আলী মোহামেদ জাকি প্রথম ম্যার্স আক্রান্ত রোগী সম্পর্কে তথ্য একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন৷ এই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরি হারান তিনি৷

ড. ফাকি এখন নিজের দেশ মিশরে ফিরে গেছেন৷ ম্যার্স ভাইরাস সম্পর্কে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন তিনি৷

আপাতত উটকে ম্যার্স ভাইরাসের প্রাথমিক উৎস হিসেবে বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ কিন্তু এই ভাইরাস উট থেকে মানুষের শরীরে কিভাবে ছড়াচ্ছে তা ধরতে পারেননি তাঁরা৷ উটের মাংস খেয়ে, দুধ পান করে, উটের রক্ত থেকে নাকি উটের কাছে গেলেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে তা এখনো জানা যায়নি৷

এআই/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য