খাশগজি অন্তর্ধান রহস্য – DW – 19.10.2018
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাশগজি অন্তর্ধান রহস্য

১৯ অক্টোবর ২০১৮

সৌদি সাংবাদিক খাশগজির অন্তর্ধানের ফলে সৌদি আরবের উপর চাপ বেড়েই চলেছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন, খাশগজি মৃত৷ তুরস্ক দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ করতে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/36oH6
সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/J. Ernst

বিক্ষুব্ধ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশগজির রহস্যজনক অন্তর্ধান নিয়ে তদন্তের মাঝেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প  দুঃখ প্রকাশ করে জানালেন যে, খাশগজি সম্ভবত মৃত৷ তিনি বলেন, তদন্ত শেষ হলে মার্কিন প্রশাসন অত্যন্ত কড়া বিবৃতি দেবে৷ প্রকাশ্যে সৌদি আরবের নেতাদের বক্তব্য কার্যত মেনে নিলেও ট্রাম্প যে বিষয়টি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-কে সৌদি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঠিয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ তদন্ত' শুরু করার আশ্বাস আদায় করতে পেরেছেন ট্রাম্প৷ পম্পেও বলেন, তদন্ত শেষ করতে সৌদি কর্তৃপক্ষকে কয়েক দিন সময় দেওয়া উচিত৷ কিন্তু সে দেশে আসন্ন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেবার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভ মেনুশিন৷ ট্রাম্প ও পম্পেও-র সঙ্গে আলোচনার পর এক টুইট বার্তায় তিনি এই ঘোষণা করেন৷

খাশগজির অন্তর্ধানের পর চলতি মাসের শেষে পরিকল্পিত ‘ফিউচার সামিট' সম্মেলন থেকে নাম প্রত্যাহার করে চলেছেন একের পর এক রাজনৈতিক নেতা ও কোম্পানির প্রধানরা৷ বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের প্রধানরাও সৌদি আরবে না যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ অনেক মিডিয়া কোম্পানিও স্পনসর হিসেবে সরে দাঁড়িয়েছে৷ সৌদি শাসক পরিবার এর আগে এমন চাপের মুখে পড়েনি৷

তুরস্কের আইনমন্ত্রী আব্দুলহামিত গুল জানিয়েছেন, সে দেশ খাশগজির অন্তর্ধান সংক্রান্ত তদন্ত শীঘ্রই শেষ করতে চলেছে৷ তিনি আরো বলেন, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত চলছে এবং সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে৷ উল্লেখ্য, তুরস্কের তদন্তকারীরা ইস্তানবুলে সৌদি কনসুলেট ও কনসালের বাসভবনেও তল্লাশি চালিয়েছেন৷ তুরস্কের কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমের কাছে আগেই দাবি করেছিলেন যে, খাশগজিকে সৌদি কনসুলেটের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে৷ সরকারি আন্দোলু সংবাদ সংস্থা এক প্রতিবেদনে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে তদন্তে সহযোগিতার অভাবের অভিযোগ করেছে৷ সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি কর্তৃপক্ষ খাশগজির হত্যার অভিযোগ স্বীকার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷

সৌদি আরব যে বিষয়টি নিয়ে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ তবে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পক্ষে খাশগজির অন্তর্ধান ও সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ডের দায় সরাসরি মেনে নেওয়া কার্যত অসম্ভব৷ নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্রের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোটা ঘটনার দায় জেনারেল আহমেদ আল-আসিরির উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে৷ গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ এই কর্মকর্তা যুবরাজ সালমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত৷

এমন প্রেক্ষাপটে শুধু তুরস্কের তদন্তের ফলে সত্য ঘটনা পুরোপুরি জানা যাবে না বলে আশঙ্কা করছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি৷ তারা চায়, তুরস্ক জাতিসংঘের তদন্তের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানাক৷ জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্যোগে এমন তদন্ত হলে সত্য উন্মোচন হবে বলে তাদের আশা৷ তবে মার্কিন প্রশাসন এমন উদ্যোগে বাধা দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)