সংশয় ঝেড়ে টিকা নেবার আহ্বান জানালেন ম্যার্কেল – DW – 14.07.2021
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংশয় ঝেড়ে টিকা নেবার আহ্বান জানালেন ম্যার্কেল

১৪ জুলাই ২০২১

জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বলেছেন, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে পেতে হলে দেশের জনসংখ্যার বড় অংশকে করোনা টিকা নিতে হবে৷ বৃহত্তর স্বার্থে মানুষকে সংশয় ঝেড়ে ফেলার আহ্বান জানালেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3wS17
জার্মানির রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের সামনে ম্যার্কেল
জার্মানির রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের সামনে ম্যার্কেলছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance

ধীরে হলেও করোনা ভাইরাসের অত্যন্ত ছোঁয়াচে ডেল্টা সংস্করণের কারণে জার্মানিতে সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে৷ অথচ করোনা টিকা নিতে এখনো ইতস্তত করছেন জার্মানির অনেক মানুষ৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাদের উদ্দেশ্যে যাবতীয় সংশয় ঝেড়ে ফেলে টিকা নেবার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্সের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এই মুহূর্তে কোনো গোষ্ঠীর জন্য করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করতে চান না তিনি৷ কয়েক মাস পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই সিদ্ধান্ত বদলানোর সম্ভাবনা অবশ্য তিনি উড়িয়ে দেন নি৷ আপাতত মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়াতে চায় সরকার৷

এখনো পর্যন্ত জার্মানির প্রায় ৪৩ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার সব ডোজ পেয়ে গেছেন৷ ৫৮ শতাংশ শুধু প্রথম ডোজ পেয়েছেন৷ তবে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেওটিকাদান কর্মসূচির গতি কমে চলেছে৷ ম্যার্কেল মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রার পথে ফিরে যাবার ক্ষেত্রে যত বেশি সম্ভব মানুষের টিকা নেওয়া জরুরি৷ রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটে বক্তব্য রাখার সময় জার্মান চ্যান্সেলর দেশের সেই সব মানুষের উদ্দেশ্যে সব সংশয় ঝেড়ে ফেলে নিজের ও প্রিয়জনদের সুরক্ষার স্বার্থে করোনা টিকা নেবার আবেদন করেন৷

করোনা টিকা সাধারণ মানুষের আরও কাছে পৌঁছে দিতে জার্মানিতে বেশ কিছু অপ্রচলিত উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে৷ বিনা অ্যাপয়েন্টমেন্টে পথচারী ও গাড়ি চালকদের টিকা দিতে মোবাইল ভ্যান ও অন্যান্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ যেমন বার্লিনের আইকিয়া আসবাবের দোকানের পার্কিং লটে বিনা জটিলতায় টিকা নেওয়া যাচ্ছে৷ বাভেরিয়া রাজ্যেও ‘ড্রাইভ-ইন’ ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ গির্জা ও মসজিদেও টিকা দেবার চেষ্টা চলছে৷ মোটকথা বিনা জটিলতা ও নথিপত্রের বেড়াজাল ছাড়াই সহজে করোনা টিকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ৷

জাতীয় ও স্থানীয় স্তরে করোনা মহামারির মাত্রা নির্ধারণ করতে জার্মানি এতকাল শুধু ইনসিডেন্স সূচককেই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে৷ অর্থাৎ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হারের ভিত্তিতে বিধিনিয়ম স্থির করা হয়েছে৷ গত সপ্তাহে ইনসিডেন্সের মাত্রা পাঁচের নীচে থাকলেও বর্তমানে তা সাত পেরিয়ে গেছে৷ এবার থেকে জার্মানির সরকার সেইসঙ্গে হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীদের সংখ্যার উপরেও বিশেষ নজর দেবে৷ এমন রোগী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাঠামোও মজবুত করা হচ্ছে৷ গত সপ্তাহে ৪৪০ জন এমন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন৷ চলতি সপ্তাহে সেই সংখ্যা বেড়ে ৬৪৬ ছুঁয়েছে৷ 

কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলায় জার্মানিতে উদ্বেগ বাড়ছে৷ নেদারল্যান্ডসে ইনসিডেন্স মাত্রা ২৬৬ ছুঁয়েছে৷ ইউরোপের অনেক দেশে এমন পরিস্থিতির ফলে জার্মানিতেও সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ বিশেষ করে গ্রীষ্মের ছুটির পর সে সব দেশ থেকে পর্যটকরা ফিরে এলে জার্মানিতেও পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে৷ সীমান্তে আরো কড়াকড়ি নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)