‘শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়ন চাই’ – DW – 30.04.2013
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়ন চাই’

সমীর কুমার দে, ঢাকা৩০ এপ্রিল ২০১৩

‘‘শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়ন ছাড়া প্রাণহানি থামানো যাবে না৷ মালিকরা ইচ্ছেমতো গার্মেন্টস চালাবেন আর তাতে জীবন যাবে শ্রমিকদের৷ কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়ন থাকলে এ ধরনের ভবনে গার্মেন্টস চালানোর সুযোগ পাবেন না তাঁরা৷’’

https://p.dw.com/p/18PDf
ছবি: picture-alliance/dpa

ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে এমনভাবেই কথাগুলো বললেন অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ৷ তিনি বলেন, সরকার মালিকদের ইচ্ছেমতো সব সিদ্ধান্ত নেন৷ কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়ন থাকলে সরকারের সঙ্গে তাদের দাবি-দাওয়া ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবেন৷

গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচি ডয়চে ভেলেকে বলেন, শ্রমিক ইউনিয়ন তো আছেই৷ অনেকগুলো শ্রমিক সংগঠন এখন কাজ করছে৷ প্রতিটি কারখানায়ই শ্রমিক সংগঠন না থাকলেও তাদের নেতা আছেন৷ যারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন৷ আর প্রতিটি কারখানায় শ্রমিক সংগঠন হলেই যে সমস্যার সমাধান হবে, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই৷ সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন তিনি৷

Bangladesch Tote bei Einsturz von Textilfabrik 24.04.2013
‘শ্রমিকদের জীবনহানি থামাতে চাই শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়ন’ছবি: Reuters

সাভারের রানা প্লাজা ধসে এ পর্যন্ত প্রায় চারশ' মানুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ ভেতরে আরো কত লাশ আছে তার কোনো হিসেব কেউ জানেন না৷ অভিযোগ রয়েছে, ভবনে ফাটল দেখার পর সাভারের রানা প্লাজা পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়৷ কিন্তু পরদিন শ্রমিকদের ডেকে এনে জোর করে কাজে যোগদান করতে বাধ্য করা হয়৷ কেউ কাজে যোগ না দিলে তাদের চাকরিচ্যুতির পাশাপাশি বেতন না দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়৷ ফলে নিরিহ শ্রমিকরা দুর্ঘটনা নিশ্চিত জেলেও অনেকটা বাধ্য হয়ে কাজে যোগ দেন৷ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, শ্রমিক ইউনিয়ন থাকলে এভাবে মালিকরা জোর করে শ্রমিকদের কাজে যোগদান করতে বাধ্য করতে পারতেন না৷ তারা মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন৷ প্রাণহানি ঘটত না৷

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, মাঝে মধ্যে শ্রমিকরা রাস্তায় নামেন গাড়ি ভাঙচুর করেন৷ কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়ন থাকলে এভাবে কথায় কথায় শ্রমিকরা রাস্তায় নামতেন না৷ তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে মালিকদের সঙ্গে কথা বলা যেত৷ এতে মালিকদের বেশি লাভ হতো৷ কিন্তু তারা ভালোটাও এখন বুঝছেন না৷ অবশ্য এভাবে অগ্নিকাণ্ডে বা ভবন ধসে নিহত শ্রমিকদের যেভাবে ১০/২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে মালিকরা পার পেয়ে যাচ্ছেন, ইউনিয়ন থাকলে সেটা সম্ভব হতো না৷ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার নিয়ম তার সারা জীবনের আয়ের সমপরিমাণ৷ কিন্তু বাংলাদেশে তা হয় না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য