লিখিত আশ্বাস না পাওয়ায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে

জুনিয়র ডাক্তাররা বুধবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা চেয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেয়া হয়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। নবান্ন সভাঘরে সেই আলোচনা হয়। পাঁচঘণ্টা পরে সেই আলোচনা সেরে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, রাজ্য সরকার মিনিটস বা বৈঠকের বিবরণীতে সই করেনি। তাই তারা কাজে যোগ দিচ্ছেন না।

বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, মুখ্যসচিব বৈঠকে হাসপাতালে নিরাপত্তা, থ্রেট কালচার, বেড নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, ছাত্র ভোট, রেফারেল সিস্টেমের দাবি মেনে নিলেও মিনিটসে সই করতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন নির্দেশ জারি করতে দুই দিন সময় লাগবে। তিনি সব দাবি মেইল করতে বলেছেন। চিকিৎসকরা তা করবেন।

জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছেন, তারা কাজে ফিরতে চান। কিন্তু এখনই তা হচ্ছে না। তারা লিখিত আশ্বাস চেয়েছিলেন। তা দেয়া হয়নি। এখন তারা সরকারের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করবেন। তারা কাজে ফিরতে নিরাপদ বোধ করছেন না বলেই এই সিদ্ধান্ত। তারা অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।

বিক্ষোভস্থলেই অভয়া ক্লিনিক খুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানেই রোগী দেখছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে কাজে যোগ না দিলেও তারা রোগী দেখার কাজ অবস্থান-বিক্ষোভের পাশাপাশি করছেন। সেখানে ওযুধও রাখা রয়েছে।

অভয়া ক্লিনিকে সমানে রোগীরা আসছেন। এখানে ডেন্টাল ক্লিনিকের পাশে অন্য রোগীদের জন্য ক্লিনিকও খোলা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের সামনে রোগীদের জন্য চেয়ার কখনো খালি থাকছে না। সবসময় ভর্তি থাকছে। জুনিয়র ডাক্তাররাও পালা করে রোগী দেখছেন। কিছুক্ষণ রোগী দেখার পর তারা আবার অবস্থান বিক্ষোভে ফিরছেন। তখন তাদের জায়গা অন্যরা নিচ্ছেন। এভাবেই ক্লিনিক চলছে।

জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদের অস্ত্র হলো গান। রাতেও তারা একের পর এক গান গেয়ে চলেছেন। তার মধ্যে 'কারার ওই লৌহকপাট' যেমন থাকছে, তেমনই থাকছে অন্য গান।