মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট মুশাররফ এর প্রতি সমর্থন হ্রাস পাচ্ছে – DW – 01.03.2007
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট মুশাররফ এর প্রতি সমর্থন হ্রাস পাচ্ছে

ভাষান্তর আবদুস সাত্তার১ মার্চ ২০০৭

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারকদেকর কাছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশাররফ এর সমর্থন হ্রাস পাচ্ছে৷ আফগানিস্তানের সীমান্ত অঞ্চল ওয়াজিরিস্তানে উগ্র-পন্থীদের সাথে মুশাররফ এর শান্তি-চুক্তির ফলে সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকায় তালেবানদের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পেয়েছে- এলাক

https://p.dw.com/p/DPoO
ছবি: AP

াটি তারা ব্যবহার করছে আফগানিস্তানে তাদের আন্তঃসীমান্ত আক্রমনের কাজে৷

আফগানিস্তানের সীমান্ত অঞ্চল ওয়াজিরিস্তানে উগ্রপন্থীদের সাথে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ স্বাক্ষরিত শান্তি-চুক্তি থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনে মার্কিন ডেমোক্র্যাটরা পাকিস্তানে সাহায্য দানের পূর্ব-শর্ত হিসেবে জুড়ে দিয়েছেন ইসলামাবাদের স্পষ্ট তালেবান বিরোধী নীতি এবং অনেকে এমনকি পাকিস্তানে গণতন্ত্রের পুনপ্রবর্তনের পক্ষেও মত প্রকাশ করেছেন৷

এদিকে,মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডিক-চেনি চলতি সপ্তাহের গোড়ায় যখন বিস্ময়করভাবে ইসলামাবাদ সফর করেন তখন মনে হয় তিনি প্রকাশ করেন পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধৈর্য্যের কথা৷ আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন যে, তালেবানদের বিরুদ্ধে জেনারেল মুশাররফ তেমন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও অনেকে একই মত পোষন করছেন৷ ওয়াশিংটনে think-tank Center for International Policy এর এই অঞ্চলের সুপরিচিত বিশেষজ্ঞ সেলিগ হ্যারিসন বলেন, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থাগুলো তালেবানদের সাহায্য করছে-এ মর্মে অকাট্য প্রমাণ না পাওয়া গেলেও সব ধরনের আন্তঃসীমান্ত তত্ পরতার অনেক প্রমাণাদি রয়েছে যে, গুপ্তচর সংস্থাগুলো এবং সেনাবাহিনী এ ব্যাপারে কোন কিছু করার চেষ্টা করছে না৷

হ্যারিসন বলেন, মুশাররফ নিজে উগ্রপন্থী নন তবে উগ্রপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে তাঁর রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখাতে পারছেন না৷ 9-11 এর পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে হুমকি দেয়৷ ফলে তাঁর কোন বিকল্প ছিল না দেশটির সঙ্গে সহযোগিতা করা ছাড়া৷ মুশাররফ নিজেও এ ব্যাপারে সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর এক বইএ খোলাখুলি বলেছেন৷ হ্যারিসন বলেন, সমস্যা হচ্ছে এই যে, প্রেসিডেন্ট মুশাররফ পাকিস্তানের ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো এবং সেনাবাহিনীর সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল৷ সত্যি বলতে কি, সীমান্ত প্রদেশগুলোতে ক্ষমতা পাওয়ার ব্যাপারে তিনি তাদেরকে সাহায্য করেছেন৷ এবং আমার মনে হয় এই গোষ্ঠীগুলো তালেবানদের সাথে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছে৷কিন্তু মুশাররফ একে দেখছেন অন্যভাবে৷

হ্যারিসন এর মতে, 9 -11 এর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে সাহায্য হিসেবে ব্যয় করেছে সাতাশ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার৷ কংগ্রেসে নতুন সংখ্যারিষ্ঠ ডেমোক্র্যাটরা এ থেকে স্পষ্ট ফায়দা পেতে চায় এখন৷ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাশ হয়েছে যাতে পাকিস্তানে সাহায্য দান নির্ভরশীল করা হয়েছে আফগানিস্তানে তালেবাদের আক্রমন বন্ধের ওপরে৷ সেলিগ হ্যারিসন মুশাররফের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণের পক্ষপাতি এবং তাঁর বিশ্বাস যে, মুশাররফ এর বিকল্প ভাবারও সময় হয়েছে এখন৷

হ্যারিসন বলেন, মুশাররফ এর নেতৃত্বে পাকিস্তানে ইসলামিরা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে৷ কারণ তাঁদের সঙ্গে মুশাররফ জোটবদ্ধ হয়েছেন৷ তিনি মনে করেন, এর পরিবর্তন হবে পাকিস্তানের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভূট্টো বা নাওয়াজ শরীফ এর নির্বাচনী বিজয়ের মাধ্যমে৷ এ উপলক্ষে তাঁরা উভয়েই আগামী শরতে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য দেশে ফিরে আসতে চান৷ কিন্তু মুশাররফ এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি তাঁদের দেশে প্রত্যাবর্তন করতে দেবেন না৷

মুশারফ এর প্রতি ওয়াশিংটনের বিরাগ ভাজনের এটাও আর একটা কারণ৷ তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা বিশেষ করে ISI এর সঙ্গে তার ভাল সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চায় না৷ কারণ এই সংস্থাকে ওয়াশিংটন আগেও যেমনি কাজে লাগিয়েছে ভবিষ্যতেও তেমনি ব্যবহারে আগ্রহী৷