ভারতে কৃষকদের আত্মহত্যার হার বাড়ছে – DW – 18.01.2011
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে কৃষকদের আত্মহত্যার হার বাড়ছে

১৮ জানুয়ারি ২০১১

২০০৯ সালে ভারতে ১৭ হাজারেরও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন৷ এর আগের বছরের চেয়ে এই হার শতকরা ৭ ভাগ বেশি৷ সরকারের নতুন হিসেবে এই তথ্য জানানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/zzCn
কৃষক জমিতে লাঙল দিতে যাচ্ছেনছবি: AP

ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো, এনসিআরবি-র ঐ সমীক্ষার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘‘অ্যাকসিডেন্টাল ডেথস অ্যান্ড সুইসাইড ইন ইন্ডিয়া''৷ ঐ সমীক্ষাতেই কৃষকদের আত্মহত্যার হার বাড়ার কথা জানানো হয়েছে৷ আর এই আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং অন্ধ্র প্রদেশে৷ বিশেষ করে তালিকাভুক্ত করা দক্ষিণাঞ্চলীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বহু কৃষক আত্মহত্যা করে৷ ৩৭ বছরের মধ্যে কৃষিখাতে সবচেয়ে খারাপ মৌসুম যাবার পরে ২০০৯ সালে আত্মহত্যার এই হিসেব পাওয়া গেল৷

BdT Indischer Farmer am Welt Wasser Tag
অন্ধ্র প্রদেশের হায়দ্রাবাদে প্রচন্ড খরায় কৃষকের মাথায় হাতছবি: AP

টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্স ২০০৯ সালে বলেছিল, বিভিন্ন শহরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সত্ত্বেও, প্রতি তিনজন ভারতীয় কৃষকের মধ্যে দুইজনই এখনও বেঁচে আছেন এবং গ্রামাঞ্চলে কাজ করছেন৷ তবে এর আগের দশকে দেড়লাখ কৃষক নিজেদের হত্যা করেছেন৷

গত বছরে বলিউডে এই নিয়ে একটি চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়৷ নাম ‘পিপলি লাইভ'৷ ছবি তৈরি করেন বলিউড অভিনেতা সুপার স্টার আমির খান৷ ছবিটি পরিচালনা করেন, অনুশা রিজভী৷ সেখানে দেখানো হয়েছে, প্রবল মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পরে, ঋণ শোধ করতে গিয়ে দুইজন দরিদ্র কৃষক কীভাবে তাদের জমি হারিয়েছেন৷ এর পরে একজন নিজেকে হত্যা করার কথা বিবেচনা করেন, ভাবেন এতে তার পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে৷

আরেকটি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে,২০০৯ সালে মোট ১২৭,১৫১ জন আত্মহত্যা করেছে৷ এছাড়া প্রায় ৩৫০ দিনে পুরো ভারতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১২৫,০০০ মানুষ৷ ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ৭.৩ ভাগ৷ ২০০৫ সালের পরে সড়ক দুর্ঘটনার হার বেড়েছে শতকরা ৩০ ভাগ৷

ন্যাশনাল সেফটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, এএসসিআই-এর প্রধান কে.সি.গুপ্ত গত সেপ্টেম্বরে এএফপি-কে বলেছিলেন, মানসিকতা পরিবর্তন এক ‘বিশাল কাজ'৷ তবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন মানুষের সচেতনতা বাড়াতে পারে৷ ভারতের সড়কগুলোতে মানুষের ভিড়ের তুলনায় পুলিশ থাকে অনেক কম এবং সাথে থাকে প্রাকৃতিক নৈরাজ্য৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন