বেকার যুবকের সংখ্যা বেড়ে অস্থিরতার শঙ্কা – DW – 12.08.2010
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেকার যুবকের সংখ্যা বেড়ে অস্থিরতার শঙ্কা

১২ আগস্ট ২০১০

বিশ্ব যুব দিবসে যুবকদের দুঃসংবাদ শোনালো আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা - আইএলও৷ তারা জানায়, যুবকদের বেকারত্বের হার এখন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে৷ এই বেকারত্ব সংঘাত-সহিংসতার দিকে মোড় নিতে পারে, সেই শঙ্কাও প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ সংস্থাটি৷

https://p.dw.com/p/OjZ0
যুবকদের বেকারত্বের হার গড়তে যাচ্ছে রেকর্ডছবি: picture-alliance / Tagesspiegel

নানা আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যুব দিবস৷ ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১২ আগস্টকে বিশ্ব যুব দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়৷ আর এই বছরটি পালিত হচ্ছে বিশ্বযুব বর্ষ হিসেবেও৷ এই বছর দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সংলাপ ও সমঝোতা'৷ মানে হচ্ছে, সংলাপ ও আলোচনার মধ্য দিয়ে যুব সম্প্রদায়কে উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা৷ দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এক বাণীতে বলেছেন, ‘‘আমাদের কাজে যুব সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে৷ দারিদ্র্য বিমোচন, সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার রোধ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা- সব ক্ষেত্রেই৷ তাই রাষ্ট্রনেতাদের প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনারা যুবকদের প্রতি আরো মনোযোগ দেবেন, তাহলে আমাদের কাজ আরো গতি পাবে৷''

এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে আইএলও৷ তারাও বলছে, যুব সম্প্রদায়ের প্রতি আরো মনোযোগ দিতে৷ কারণ বেকারত্বের হতাশা থেকে সামাজিক অস্থিরতার অশনি সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছে তারা৷ আইএলও বলছে, এই বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বে বেকার যুবার সংখ্যা দাঁড়াবে ৮ কোটি ১২ লাখ৷ আইএলও হিসাব শুরু করার পর এত বড় সংখ্যা আর পায়নি৷ বেকারত্বের এই হার ১৩ শতাংশ স্পর্শ করতে যাচ্ছে৷ ২০০৭ সালে মন্দা শুরুর পর এটাই সর্বোচ্চ৷ এখানে যুবক হিসেবে ধরা হয়েছে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের৷

NO FLASH Jugendliche Deutsch Olympiade Hamburg 2010
বিশ্ব যুব দিবসে জার্মানির তরুণ-তরুণীরাছবি: DW

আইএলও'র আভাস, অর্থনৈতিক মন্দা কাটতে শুরু করলেও ২০১১ সালেও বিশ্বের অধিকাংশ স্থানেই বেকার যুবকের সংখ্যা রাতারাতি কমবে না৷ বরং উত্তর ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে তা আরো বাড়তে পারে৷ উন্নত বিশ্ব যেখানে কর্মক্ষম যুবকের সংখ্যা বেশি, সেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ সংস্থাটি৷ তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘হন্যে হয়ে খুঁজেও চাকরি না পেয়ে অনেক যুবা হতাশ হয়ে পড়বে৷ কেউবা মানসিক সমস্যায় পড়বে৷ নেশার জগতেও হারিয়ে যেতে পারে অনেকে৷ আর তা হলে অপরাধ বাড়বে৷ সংঘাত আর সহিংসতা সমাজকে অস্থির করে তুলতে পারে৷'' এই সমস্যা থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোও মুক্ত নয় বলে জানিয়েছে আইএলও৷ ২০০৯ সালে এইসব দেশে বেকারত্বের হার ৪ শতাংশ বেড়ে ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে৷ আর এর প্রবণতা এখনও বাড়ার দিকে৷

হতাশাগ্রস্ত যুবকরা যেন অপরাধ জগতে জড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য রাষ্ট্রনেতাদের প্রতি কিছু পরামর্শ রেখেছেন আইএলও'র মহাপরিচালক হুয়ান সোমাভিয়া৷ তিনি বলেছেন, এখন যুব সম্প্রদায় আগের চেয়ে বেশি মনোযোগের দাবি রাখে৷ মনে রাখতে হবে, যুবারাই অর্থনীতির চালিকাশক্তি৷ তাই এই সময়টাতে তাদের শিক্ষা আর বিভিন্ন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত রাখতে হবে৷ শুধু উন্নত দেশগুলোই নয়, একই কাজ করতে হবে অনুন্নত দেশগুলোকেও৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ