পরিস্থিতি কি বদলাবে? – DW – 30.11.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিস্থিতি কি বদলাবে?

৩০ নভেম্বর ২০১২

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে জাতিসংঘের ‘পর্যবেক্ষক’ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে ফিলিস্তিন৷ কিন্তু এই অর্জন কতটা অর্থবহ? ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য পরিবর্তনে কতটা ভূমিকা রাখবে এই স্বীকৃতি? এই প্রশ্ন অনেকের মনে৷

https://p.dw.com/p/16tRB
ছবি: Reuters

পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতির তাৎক্ষণিক প্রভাব কার্যক্ষেত্রে কী? এরকম এক প্রশ্নের উত্তরে রয়টার্স আগেভাগেই জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে কোনকিছুই আসলে বদলাবে না৷ পশ্চিম তীর কার্যত ইসরায়েলের অধিকৃত এলাকা হিসেবেই থাকবে এবং বসতি সম্প্রসারণও নিঃসন্দেহে অব্যাহত থাকবে৷ তবে ফিলিস্তিনিদের মতে, এই স্বীকৃতি দু'দেশের মধ্যকার সমঝোতায় বড় প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে ‘সংঘাতপূর্ণ' অঞ্চল হিসেবে আখ্যা দিতে পারবে না৷ তার বদলে, এই অঞ্চল পরিস্কারভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের এলাকা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেটা চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণের আগেই৷ হামাস শাসিত গাজার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য৷

Gaza Konflikt Waffenruhe Benjamin Netanyahu
ইসরায়েল ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনিদের এই স্বীকৃতিকে ‘‘অর্থহীন'' বলে প্রত্যাখ্যান করেছেছবি: GALI TIBBON/AFP/Getty Images

পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে তাহলে কি সুবিধা পাচ্ছে ফিলিস্তিন? এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয়, সাধারণ অধিবেশনে বিজয়ের পর ফিলিস্তিনিদের অবস্থান এখন জাতিসংঘের বিবেচনায় ভ্যাটিকান সিটির মতো৷ ভ্যাটিকান সিটিও জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত৷ দশ বছর আগে সুইজারল্যান্ডের অবস্থাও একই ছিল৷ জাতিসংঘের ‘সদস্য নয় কিন্তু পর্যবেক্ষক’ - এই স্বীকৃতির কিছু প্রতীকী গুরুত্ব রয়েছে৷ এর ফলে জাতিসংঘের আলোচনায় সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে ফিলিস্তিন৷ তবে তারা সাধারণ অধিবেশনে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবে না৷

আইনি দিক বিবেচনায়ও এই স্বীকৃতির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷ ফিলিস্তিন এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যোগ দিতে পারবে৷ ধারণা করা হয়, ফিলিস্তিন যদি আন্তর্জাতিক আদালতে যোগ দিতে পারে, তাহলে সেখানে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং অন্যান্য গুরুতর অভিযোগ আনার সুযোগ পাবে৷ এছাড়া আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থায়ও যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে ফিলিস্তিন৷

UN räumt Palestina Beobachterstatus ein
ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের এই স্বীকৃতিকে ভিত্তি করে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চায়ছবি: Getty Images

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যকার শান্তি আলোচনায় এর প্রভাব কী? কার্যত এই শান্তি আলোচনা গত দু'বছর ধরেই স্থগিত রয়েছে৷ পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণকে কেন্দ্র করে দু'বছর আগে দু'পক্ষের মধ্যকার এই শান্তি আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়৷ জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুজান রাইস অবিলম্বে শান্তি আলাপ-আলোচনা পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের এই স্বীকৃতিকে ভিত্তি করে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চায়৷ কিন্তু ইসরায়েল ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনিদের এই স্বীকৃতিকে ‘‘অর্থহীন'' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে৷

এআই/এসবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য