পশ্চিমবঙ্গে করোনা প্রতিরোধে যুদ্ধসাজ – DW – 16.03.2020
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে করোনা প্রতিরোধে যুদ্ধসাজ

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
১৬ মার্চ ২০২০

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের মেয়াদ বাড়ল পশ্চিমবঙ্গে৷ বন্ধ করা হল সিনেমা হল৷ পিছিয়ে গেল কলকাতা পুরসভার ভোট৷ বন্ধ হতে চলেছে শুটিংও৷

https://p.dw.com/p/3ZWi4
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Das

‌১৮৯৭ সালের মহামারী রোগ প্রতিরোধক একটি আইন ফিরিয়ে আনা হল পশ্চিমবঙ্গে৷ নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে৷ ব্রিটিশ আমলে বম্বে শহরে প্লেগ রোগ ঠেকাতে এই আইন আনা হয়েছিল, যার সুবাদে বিশেষ ক্ষমতা পায় সরকার, বিশেষত জনতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে, লোককে কার্যত ঘরবন্দি রাখতে৷ সোমবার রাজ্যের সচিবালয় নবান্নে আরও এক দফা জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১ মার্চ নয়, আরও ১৫ দিন, অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ এর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত সিনেমাহল আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আগেই ঠিক হয়েছিল আইপিএল ক্রিকেটসহ সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক খেলা স্থগিত রাখার৷ এদিন ধর্মীয় সমাবেশও না করার অনুরোধ জানাল সরকার৷

রুজি রোজগারের ক্ষেত্রে একটা টান পড়ে: অদিতি রায়

এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল কলকাতা পুরসভার ভোট পিছিয়ে দেওয়ার৷ আগে ঠিক ছিল, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে, রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই পুরভোট সেরে ফেলা হবে৷ কিন্তু এদিন রাজ্যের সরকার এবং সবকটি রাজনৈতিক দল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি আয়ত্বে না আসা পর্যন্ত ভোট পিছিয়ে দেওয়ার৷ তার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোট পূর্ব নির্ধারিত সময়ে হবে না৷ আরও ১৫ দিন পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ভোটের পরবর্তী নির্ঘণ্ট কখন স্থির হবে৷
কলকাতার স্টুডিওপাড়া টালিগঞ্জেও বন্ধ হয়ে যেতে পারে শুটিং৷ মঙ্গলবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে শিল্পী ও কলাকুশলীদের সংগঠনগুলি৷ প্রাথমিকভাবে ১৫ দিন, অর্থাৎ চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত সমস্ত সিনেমা, সিরিয়ালের শুটিং বন্ধ রাখা হবে বলে ঠিক হয়েছে৷ কিন্তু এতে অসুবিধে হবে মূলত টেকনিশিয়ানদের, যাঁরা প্রতিদিন কাজ করার ভিত্তিতে পারিশ্রমিক পান৷ এছাড়া যেহেতু সিরিয়ালের কাজ প্রায়শই দিনের দিন স্ক্রিপ্ট লেখা এবং শুটিং করার পদ্ধতি মেনে হয়, খুব বেশি এপিসোড জমা রাখারও সম্ভাবনা নেই৷ সেক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে, হয়ত পুরনো এপিসোড দেখিয়ে কাজ চালাতে হবে৷ ওদিকে সরকার সিনেমা হল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ায়, নতুন ছবি মুক্তির দিনক্ষণও সব জট পাকিয়ে গেল বলে মাথায় হাত প্রযোজক, পরিবেশকদের৷