পাত্রপাত্রী সংবাদ – DW – 16.03.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাত্রপাত্রী সংবাদ

১৬ মার্চ ২০১২

উচ্চশিক্ষিত মেয়েদের জন্য পছন্দসই পাত্র পাওয়াটা দিন দিনই কঠিন হয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়৷ ফলে, মন মতো পাত্রের খুঁজে পরিবারগুলো এখন ‘ম্যারেজ মিডিয়া'-র দ্বারস্থ হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/14LGx
epa03046573 A large crowd makes their New Year's wishes by releasing colorful balloons at Mount Namsan in central Seoul, South Korea, 01 January 2012. EPA/YONHAP KOREA OUT
Flash-Galerie Silvester 2012 Südkoreaছবি: picture-alliance/dpa

ধরুন, কনের বয়স তিরিশ৷ আর শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্স ডিগ্রি৷ বাংলাদেশে এমন কনের বরের অভাব হবে? উত্তরে আপনি হয়তো বলবেন, না হবে না৷ কিন্তু এই কনেটির বাড়ি যদি হয় দক্ষিণ কোরিয়া তাহলে গল্পটা  হবে একেবারেই অন্যরকম৷

দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চশিক্ষিত মেয়েরা, বিশেষ করে যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছে, তাদের জন্য পছন্দসই বর পাওয়াটা একটা বিরাট ঝক্কি বলে দেখা যাচ্ছে৷

বর খুঁজে না পাবার পেছনে দু'টো কারণের কথাই শোনা যাচ্ছে৷ এর মধ্যে একটি কারণ হলো, উচ্চশিক্ষিত মেয়েরা আজকাল নিজেদের পছন্দকেই বেশি গুরুত্ব দেয়৷ অর্থাৎ আগে যেমন বাবা-মায়ের পছন্দ মাফিক পাত্রকে মেয়েরা বিয়ে করতে রাজি হতো, এখন আর সেটি হচ্ছে না৷

বর খুঁজে না পাবার আরেকটি কারণ হলো, দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা এখন অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সে বিয়ে করে৷ যেটি গত বিশ বছর আগে ছিলো না৷

Südkorea Moon Sekte Massenhochzeit in Seoul
সঠিক পাত্র পাওয়া সহজ নয়!ছবি: AP

একদিকে উচ্চশিক্ষা, অন্যদিকে নিজেদের পছন্দকে অধিক গুরুত্ব দেয়া৷ আর তার উপরে আছে একটু বেশি বয়সে বিয়ে করার প্রবণতা৷ ফলে পছন্দসই পাত্র খুঁজে পাওয়া রীতিমতো একটা কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ পাত্র খোঁজার এই ঝামেলা থেকে বাঁচতেই পরিবারগুলো ম্যারেজ মিডিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে৷

আন, মাঝ বয়সি একজন নারী৷ তিনি বলেন যে, তার নিজের মেয়ের বয়স এখন ২৯৷ কিন্তু এখনো তার পাত্র পাওয়া যায় নি৷ বয়স তিরিশ পার হয়ে গেলে পাত্র পাওয়াটা আরো কঠিন হবে৷

তাই, আগামী এক বছরের মধ্যে মেয়েকে বিয়ে দেবার জন্য রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমেছেন আন৷ তিনি ম্যারেজ মিডিয়াতে গেছেন, তাদের সদস্য হয়েছেন৷ এখন অপেক্ষার পালা৷ এই এক বছরের মধ্যে পছন্দসই একটি পাত্র যেন মিলে যায় এটাই তার প্রার্থনা৷

পাত্র খুঁজে দেয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মানুষের ভিড়৷ আর এই সুযোগে ব্যবসাও জমেছে বেশ৷ পাত্র-পাত্রী খুঁজে দেবার প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দু'হাতে টাকা কামাচ্ছে৷

বার্তা সংস্থা রয়র্টাস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ের জুড়ি মিলিয়ে দেবার এই সব প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় নয়'শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য চলছে প্রতিবছর৷

Schulklasse in Südkorea
বড় হয়ে পাত্র খুঁজতে হবে পরবর্তী প্রজন্মকেওছবি: picture alliance/Lonely Planet Images

জুড়ি মিলিয়ে দেবার প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণত দেয়া হয় পাত্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা এবং পারিবারিক অবস্থার বৃত্তান্ত৷ এইসব বিষয় দেখে এক পরিবারের ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে আরেক পরিবারের মেয়ে৷

বিয়ের জুড়ি মেলানোর এই পদ্ধতিটাকে সমালোচনা করছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অনেকেই৷ তারা বলছেন, এইসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু বৈষয়িক দিকের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়৷ এখানে সামাজিক মর্যাদা আর পারিবারিক প্রতিপত্তির বিষয়টাই প্রধান হয়ে উঠছে৷ ফলে মানুষের মানবীয় দিকগুলো দেখার সুযোগ থাকছে না৷

সৌল'এর ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক কিম হিউন মে বলছেন, ‘‘সামাজিক অনিশ্চয়তা, দুশ্চিন্তার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ ইত্যাদি নাগরিক মানুষের মাঝে বাড়ছে৷ ফলে বিয়ের সময় জুটি খোঁজার উপরেও প্রভাব পড়ছে এই মানসিকতার৷ এটাও সামাজিক পরিবর্তনেরই একটা ছবি'' বলে মনে করছেন তিনি৷

প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য