ধূমপানমুক্ত দেশ গড়তে নিউজিল্যান্ডের নতুন লক্ষ্যমাত্রা – DW – 16.03.2011
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধূমপানমুক্ত দেশ গড়তে নিউজিল্যান্ডের নতুন লক্ষ্যমাত্রা

১৬ মার্চ ২০১১

ধূমপানের বিরুদ্ধে এবার যুগান্তকারী উদাহরণ তৈরি করতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড৷ আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে গোটা দেশকে ধূমপানমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার৷

https://p.dw.com/p/10Zer
ধূমপানমুক্ত দেশ গড়তে চায় নিউজিল্যান্ডছবি: isyste - Fotolia.com

নিউজিল্যান্ডে প্রতি চারজন পূর্ণবয়স্ক লোকের মধ্যে একজন ধূমপায়ী৷ ধূমপানের মরণছোবলে প্রতি বছর দেশটিতে পাঁচ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷ দেশটির আদিবাসী মাওরি জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই ধূমপানের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি৷ এবার সেই জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাই এই ধূমপানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামলেন৷ নিউজিল্যান্ডের সরকার আগামী ১৪ বছরের মধ্যে গোটা দেশকে ধূমপানমুক্ত করার যে লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে তাতে সবচেয়ে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন এই মাওরি গোষ্ঠীর সংসদ সদস্যরা৷ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগী মন্ত্রী টারিয়ানা টুরিয়া সরকারের এই উদ্যোগকে যুগান্তকারী উল্লেখ করে জানান, তারা ধূমপানের বিরুদ্ধে এই নতুন উদ্যোগ তামাক কোম্পানিগুলোর হাতে ছেড়ে দিতে চান না৷

এর আগেও নিউজিল্যান্ড সরকার ধূমপানের বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে৷ দেখা গেছে দেশটির বেশিরভাগ ধূমপায়ী ১৫ থেকে ১৯ বছরের কিশোর কিশোরী৷ এরা যাতে সহজে সিগারেট কিনতে না পারে সেজন্য ইতিমধ্যে সিগারেটের দাম অনেক বাড়ানো হয়েছে৷ ধূমপানকে নিরুৎসাহিত করতে গত ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সব ধরণের বার, ক্যাফে ও রেস্তোরাঁতে ধূমপান নিষিদ্ধ করে সরকার৷ এছাড়া সরকার ঘোষণা করেছে যে দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে সিগারেটের প্যাকেট যাতে প্রদর্শন না করা হয় সেজন্য তারা নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে৷ কিন্তু এরপরও কি ধূমপানের পরিমাণ কমছে?

প্রধানমন্ত্রী জন কি অবশ্য বলেছেন, সরকার আগামী ১৪ বছরের মধ্যে ধূমপানমুক্ত দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নিয়েছে সেটা বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন হবে৷ এছাড়া ধূমপান বিরোধী সংগঠনগুলো বলছে যে তারা ধূমপান একেবারে নিষিদ্ধ করার কথা বলছে না, তবে তারা এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে চায় যাতে করে কেউ ধূমপান করতে আর উৎসাহী না হয়৷ নিউজিল্যান্ডের এই নতুন উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হোক বা নাই হোক, বিশ্বজুড়ে তামাক বিরোধী আন্দোলনকে যে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে সেটা বলা যায়৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন