দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক – DW – 16.07.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

১৬ জুলাই ২০১২

আগামী ২৪শে জুলাই দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হতে চলেছে৷ তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস৷

https://p.dw.com/p/15Y6P
ছবি: AP

এর যৌক্তিকতা সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আকমল হুসেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মধ্যে পানি-ভাগাভাগির সমস্যাটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ বস্ততু অন্য যে কোনো সমস্যার চেয়ে এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন অধ্যাপক হুসেন৷

গতবছর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং'এর বাংলাদেশ সফরের পর সমস্যা সমাধানের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি৷ তবে তিস্তার পানি নিয়ে কূটনৈতিক সংলাপ বন্ধ হয়নি বলেই ধরে নিচ্ছেন ড. হুসেন, কেননা এক্ষেত্রে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারেরও একটি স্বার্থ রয়েছে: ‘‘তিস্তার পানি নিয়ে যদি উভয় পক্ষের স্বার্থের অনুকূল একটি চুক্তি করা যায়, তাহলে ভারত বাংলাদেশ থেকে তার আরো কিছু যে লক্ষ্য, অর্থনৈতিক লক্ষ্য বা বাণিজ্যিক লক্ষ্য, যার মধ্যে ট্রানজিট আছে - সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ - বা চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার... অর্থনৈতিক যে লক্ষ্য সেটা অর্জন করার স্বার্থেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইবেন পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসতে৷''

BM/160712/Interview: Prof. Akmal Hussein on upcoming India-Bangladesh talks - MP3-Mono

অপরদিকে স্থল সীমান্ত নিয়ে সমস্যাটির ক্ষেত্রে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দায়দায়িত্ব রয়েছে বলে ড. হুসেন মনে করেন৷ অচিহ্নিত সীমান্ত থেকে শুরু করে ছিটমহল বিনিময়, এ বিষয়গুলির সামগ্রিক একটি প্যাকেজ প্রয়োজন বলে তাঁর ধারণা৷

ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উন্নতির কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব৷ এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক হুসেন দু'দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে একটি বড় আকারের ভারসাম্যহীনতার কথা বলেন৷ সাম্প্রতিককালে ভারত কিছু কিছু পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশকে৷ ফলে বাংলাদেশের পণ্য ভারতের বাজারে ঢোকার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, বলে ড. হুসেন মনে করেন৷ তবে তিনি অন্যান্য অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে একমত যে, শুল্কটাই মূল সমস্যা নয়৷ সমস্যা হলো অসংখ্য অন্যান্য বাধা, ভারত সরকারের বাংলাদেশ থেকে আমদানির নীতি যার সঙ্গে জড়িত৷

সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে ড. হুসেন পুনরায় তাঁর প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি করেন যে, দু'পক্ষের সীমান্তরক্ষীদের একযোগে টহল দেওয়া উচিৎ - অর্থাৎ যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা৷ তবে সব কিছুর আগে গুলিচালনা এবং সীমান্তে মৃত্যু বন্ধ হওয়া প্রয়োজন৷ কেননা এ ধরণের ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত কিংবা স্থানীয় পর্যায়েই নয়, সাধারণভাবেই বাংলাদেশিদের মনে একটি তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে৷

সাক্ষাৎকার: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য