ক্ষুধা সূচকে ভারতের আগে বাংলাদেশ – DW – 16.10.2019
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষুধা সূচকে ভারতের আগে বাংলাদেশ

১৬ অক্টোবর ২০১৯

ক্ষুধার সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থায় থাকলেও নেপাল, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে আছে৷

https://p.dw.com/p/3RMyb
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman

ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট মঙ্গলবার চলতি বছরের ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক' প্রকাশ করেছে, তাতে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম৷ ২০১৮, ২০১৭ ও ২০১৬ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল যথাক্রমে ৮৬, ৮৮ ও ৯০ নম্বরে৷

ক্ষুধা ও অপুষ্টির হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকলেও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান গত কয়েক বছর ধরে একই বৃত্তে আটকে আছে৷

অপুষ্টির হার, পাঁচ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে কম ওজনের শিশুর হার, পাঁচ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশুর হার, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুমৃত্যুর হার- এই চারটি মাপকাঠিতে ১০০ পয়েন্টের ভিত্তিতে প্রতিটি দেশের স্কোর হিসেব করে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) তৈরি করা হয়েছে৷

এই সূচকে সবচেয়ে ভালো স্কোর হল শূন্য৷ স্কোর বাড়লে বুঝতে হবে, ক্ষুধার রাজ্যে সেই দেশের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে৷ আর স্কোর কমা মানে, সেই দেশের খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে৷

ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে ধারাবাহিকভাবে৷ মোট স্কোর গতবারের ২৬.১ থেকে কমে হয়েছে ২৫.৮৷ তারপরও বাংলাদেশ বৈশ্বিক অবস্থানে দুই ধাপ পিছিয়েছে কারণ অন্যদের উন্নতি ঘটছে আরও দ্রুত গতিতে৷

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার নির্ধারিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, একটি শিশুর প্রতিদিনের গ্রহণ করা খাদ্যের পুষ্টিমান গড়ে ১৮০০ কিলোক্যালরির কম হলে বিষয়টিকে ক্ষুধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়৷

ক্ষুধা সূচক বলছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ অপুষ্টির শিকার; পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের ১৪ দশমিক ৪ শতাংশের উচ্চতার তুলনায় ওজন কম; ওই বয়সি শিশুদের ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ শিশুর ওজন বয়সের অনুপাতে কম এবং পাঁচ বছরের কম বয়সি হার ৩ দশমিক ২ শতাংশ৷

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা৷ ১৭.১ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কার অবস্থান সূচকের ৬৬ নম্বরে৷ আর সাত দেশের মধ্যে ৩৩.৮ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তানের অবস্থান সূচকের ১০৮ নম্বরে৷

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে এগিয়ে থাকা অর্থনীতি ভারতের এই সূচকে পিছিয়ে থাকার মূল কারণ বিপুল জনসংখ্যা৷ খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতিতে ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত রাখলেও জনসংখ্যার বিপুল বিস্তারের তুলনায় তার গতি ধীর৷ ভারতে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের ২০ দশমিক ৮ শতাংশের উচ্চতার তুলনায় ওজন কম, যা প্রতিবেদনের ১১৭টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি৷

এসআই/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)