মারণব্যাধী এইডস – DW – 19.07.2013
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মারণব্যাধী এইডস

১৯ জুলাই ২০১৩

এইচআইভি সংক্রমণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই হিউম্যান ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস শনাক্ত করা জরুরি৷ যত তাড়াতাড়ি থেরাপি শুরু হয়, আধুনিক ওষুধপত্র তত দ্রুত কার্যকর হয়৷ আর আজকাল তো দিনে মাত্র একটি ট্যাবলেট খেলেও চলে৷

https://p.dw.com/p/1981T
ছবি: picture-alliance/dpa

বার্লিনের ডাক্তার কেইকাভুস আরাস্টে অনেক বছর ধরে এইডস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা দ্রুত সাফল্যের আশায় কাজ করছি৷ দুঃখের বিষয়, টিকা তৈরির প্রচেষ্টা এখনো সফল হয় নি৷ তবে ওষুধ দিয়ে ভাইরসাকে কাবু করার ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা অগ্রসর হয়েছি৷ ফলে যে সব রোগী স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পায়, এই চিকিৎসা কাজে লাগলে তারা প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চালিয়ে যেতে পারেন৷''

এটা সত্যি একটা বড় সাফল্য৷ এইডস এজেন্ট ভালো করে পরীক্ষা করা হয়৷ এবার গবেষকরা সেটিকে পুরোপুরি অকেজো করে তুলতে চান৷ কিন্তু ভাইরাস ক্রমাগত বদলে চলায় টিকা তৈরির সম্ভাবনা বেশ কম৷ ড.আরাস্টে বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না যে এই বিস্ময়কর সাফল্য দেখে যেতে পারবো৷ আসলে এইচআইভি অত্যন্ত গোলমেলে বিষয়৷''

Thailand AIDS Impfstoff
কার্যকর টিকা তৈরির প্রচেষ্টা চলছেছবি: AP

তবে বিজ্ঞানীরা হাল ছাড়ার পাত্র নন৷ অ্যামেরিকার একদল গবেষক এইচআইভি বহনকারী এক ব্যক্তির শরীরে এমন অ্যান্টিবডি খুঁজে পেয়েছেন, যা ভাইরাসের ক্রমাগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকেও বদলে ফেলে এবং তাদের খতম করে৷

যে সব জিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, সেগুলি এইচআইভি-সংক্রমিত রোগীর মধ্যে স্থাপন করার প্রচেষ্টাও চলছে৷ তবে এই পরীক্ষার ফল পেতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে৷

কেইকাভুস আরাস্টে-র কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, ভাইরাস বহন করা সত্ত্বেও মানুষ কীভাবে ওষুধপত্র ছাড়াই বাঁচতে পারে৷ প্রাণিজগতের মধ্যেই সম্ভবত এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে৷ তিনি বললেন, ‘‘যে সব বানর এইচআইভি বহন করছে, তারা কীভাবে বেঁচে থাকে? আসলে তাদের শরীরে ভাইরাল লোড খুব বেশি৷ ইমিউন সিস্টেম তার পরোয়া করে না৷ বানররা তাদের ভাইরাস নিয়ে দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে৷''

এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এইচআইভি বহন করা সত্ত্বেও কোনো বানরই অসুস্থ হয়নি৷ এটা কীভাবে সম্ভব? এর পেছনে কারণ কী? গবেষকরা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন, যাতে ভবিষ্যতে এইডস রোগ পালাবার পথ না পায়৷

এসবি/ডিজি