ইউরোপের দিন কি ফুরিয়েছে? – DW – 24.03.2017
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের দিন কি ফুরিয়েছে?

২৪ মার্চ ২০১৭

রোম চুক্তি স্বাক্ষরের ৬০ বছর পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ: ব্রেক্সিট, ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদ, তুরস্কের সাথে ঝগড়া৷ ইইউ কি ভেঙে পড়তে চলেছে? ইইউ-র এক কমিশনার মার্গ্রেটে ভেস্টাগারকে প্রশ্ন করেন মিশেল ফ্রিডমান৷

https://p.dw.com/p/2ZsL3
DW Sendung Conflict Zone
ছবি: DW

Margrethe Vestager on Conflict Zone

রোম চুক্তি স্বাক্ষরের ৬০তম বার্ষিকী আসতে চলেছে৷ অপরদিকে ব্রেক্সিট সরকারিভাবে শুরু হবার মুখে৷ এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা কমিশনার মার্গ্রেটে ভেস্টাগার ডয়চে ভেলেকে বলেছেন যে, সব সংকট সত্ত্বেও ইইউ আজও ‘‘ইতিহাসে বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য স্থানগুলির মধ্যে পড়ে, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য৷''

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে আগামী ২৯শে মার্চ তারিখে ৫০ নম্বর সূত্রটি কার্যকর করবেন, যার মাধ্যমে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিত্যাগের প্রক্রিয়া সরকারিভাবে সূচিত হবে৷ এই প্রথম ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সদস্যদেশ ইইউ পরিত্যাগ করছে৷ ব্রাসেলস এই অবস্থান নিয়েছে যে, ইইউ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য সম্পর্ক স্থির করার আগে ব্রিটেনে ইইউ নাগরিকদের অধিকারসমূহ এবং আর্থিক সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথাবার্তা বলতে হবে৷ ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক ২৯শে এপ্রিল ইইউ নেতৃবর্গের একটি শীর্ষবৈঠক ডেকেছেন, যে বৈঠকে ব্রিটেনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার শর্তাবলী সরকারিভাবে নির্দিষ্ট করা হবে৷

ব্রেক্সিটের পর ইইউ?

এক্ষেত্রে ভেস্টাগার ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্নিহিত মূল্যবোধের কথা উল্লেখ করেন: ‘‘আমাদের আরো অনেক সংকট আছে এবং তাদের সংখ্যাও কম নয়৷ আমরা এ সব সংকট ইচ্ছে করে সৃষ্টি করিনি৷ কিন্তু আমরা সেই সব সংকট সমাধানের দায়িত্ব নেবার সিদ্ধান্ত নিতে পারি....এটা প্রায় গোটা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ সময়৷ ইউরোপে এর আগে আর কখনো এত শান্তি ছিল না৷''

তুরস্কের সঙ্গেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুতর কূটনৈতিক সংকট চলেছে৷ প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান ১৯৯৫ সালের স্রেব্রেনিৎসা হত্যাকাণ্ডের জন্য ডাচদের দায়ি করেছেন  ও জার্মানির বিরুদ্ধে ‘‘নাৎসি পদ্ধতি'' প্রয়োগের অভিযোগ করেছেন৷ এর্দোয়ানের উষ্মার কারণ হলো, তুরস্কে আগামী ১৬ই এপ্রিলের গণভোটের আগে তুর্কি রাজনীতিকদের নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিতে রাজনৈতিক জনসভা করতে দেওয়া হয়নি৷

‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য'

ইইউ কর্মকর্তারা কীভাবে এর্দোয়ানকে আরেকটু সংযত হতে বাধ্য করতে পারেন, এ প্রশ্নের জবাবে ভেস্টাগার বলেন, ‘‘সংলাপের বিভিন্ন স্তর আছে৷ (এর্দোয়ানের বিভিন্ন মন্তব্য) পুরোপুরি অকল্পনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য৷ কিন্তু যুগপৎ (দু'পক্ষের) সম্পর্কও আছে৷ কাজেই সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে৷''

Margrethe Vestager on Conflict Zone
ছবি: DW

‘‘তুরস্ক মিস্টার এর্দোয়ানের চেয়ে অনেক বড়'', বলে ভেস্টাগার ঘোষণা করেন৷ কিন্তু তুরস্কের ইইউ-তে যোগদানের সম্ভাবনা দিন দিন কমে আসছে: ‘‘কেননা তুমি যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে চাও, তাহলে তোমাকে কোপেনহাগেনের শর্তাবলী পূরণ করতে হবে, তোমাকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হতে হবে৷''

ইউরোপে ধর্ম নিয়ে যুদ্ধ?

কথাটা বলছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্টালিয়ার একটি জনসভায়৷ নেদারল্যান্ডসে সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর তিনি অভিযোগ করেন যে, গ্যার্ট উইল্ডার্স থেকে শুরু করে সামাজিক গণতন্ত্রী অবধি, সকলেরই এক মনোবৃত্তি, যা থেকে ‘‘শীঘ্রই ইউরোপে ধর্মভিত্তিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে এবং হবে''৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য ঝুঁকি রয়েছে: এ বছর ফ্রান্স ও জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচন; সেক্ষেত্রে দেখা যাবে, ইইউ-র আদি সদস্যদেশগুলিতে ‘পপুলিজম’ – যা কিনা দক্ষিণপন্থিদের নতুন নাম – সফল হবে কিনা৷ ডয়চে ভেলের ‘কনফ্লিক্ট জোন' অনুষ্ঠানে ভেস্টাগার আশাবাদিতা প্রকাশ করেন: ‘‘যে আমলে ইউরোপের রাজনৈতিক বিতর্কে একক দেশগুলির কণ্ঠ বেশি শোনা যেত, সে অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়৷ এখন প্রচুর কাজ আছে এবং সেই কাজ শুধু পপুলিস্ট বা জাতীয়তাবাদি দলগুলিকেই বদলে দেবে না; আমাদের মতো যারা ইউরোপীয় সহযোগিতায় জোরালোভাবে বিশ্বাস করেন, তাদেরও বদলে দেবে৷''

ক্যারোলাইন স্মিট/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য