আসামে জাতিদাঙ্গা – DW – 27.07.2012
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসামে জাতিদাঙ্গা

২৭ জুলাই ২০১২

আসামে জাতিগত দাঙ্গায় জড়িত দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে এখন শুধু ভীতি আর অবিশ্বাস৷ অতীতের মতো এবারেও এই মানবিক সংকটের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার৷ কারণ এই সংঘর্ষ নতুন নয়৷ এর পেছনেও কী কাজ করেছে রাজনীতি?

https://p.dw.com/p/15fQW
ছবি: Reuters

আসামে এই জাতিদাঙ্গা দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে – স্থানীয় বোড়ো উপজাতি এবং বাঙ্গালি মুসলিম, যারা লোয়ার আসামের বাসিন্দা৷ গত এক সপ্তাহে জাতিদাঙ্গায় মারা গেছে এপর্যন্ত ৪৫ জন৷ প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ ঘরছাড়া৷ তারা আশ্রয় নিয়েছে ২০০টি ত্রাণ শিবিরে৷ ভীতি, আতঙ্ক আর অবিশ্বাসের ঘেরাটোপে বন্দি৷ ফিরে যেতে চাইছেনা গ্রামের বাড়িতে৷ দশ হাজার ঘরছাড়া পরিবার পালিয়ে গেছে পাশের পশ্চিমবঙ্গে৷

মুসলিম সাংসদদের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরমের সঙ্গে৷ বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ওপর তাদের আস্থা নেই৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার যাচ্ছেন কোকরাঝাড়৷ আর আগামীকাল যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী৷ দোষীদের গ্রেপ্তার করে কড়া শাস্তি দেবার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈকে৷

কেন এই জাতিদাঙ্গা? এই বিষবৃক্ষের বীজ নিহিত আছে কোথায়? ইতিহাস বলছে, আসামে বাঙালি মুসলমানদের ব্যাপক আগমন ঘটলে বোড়োদের মনে আশঙ্কা, তাদের জমি এরা বুঝি দখল করে নেবে৷ কারণ অনেক জায়গায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ৷ কৃষিকাজে বাঙালি মুসলিমরা এদের চেয়ে অনেক উন্নত৷ বিদ্বেষ ও অবিশ্বাসের শুরু সেই থেকে৷ যদিও বাঙালি মুসলিমদের আসামে আসা শুরু সেই ব্রিটিশ আমলে, তৎকালীন পূর্ব বাংলা থেকে৷

Indien Unruhen in Assam zwischen Bodo-Volksgruppe und muslimischen Siedlern
প্রধানমন্ত্রী আসাম যাচ্ছেন শনিবারছবি: Reuters

সেই অবিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ে ছাত্র রাজনীতিতে৷ তারমধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে জঙ্গি সংগঠন, বোড়ো লিবারেশন টাইগার সংক্ষেপে বিএলটি৷ যারা হাত মেলায় সরকারের সঙ্গে৷ গঠিত হয় ঐ এলাকার চারটি জেলা নিয়ে বোড়োল্যান্ড ডিসট্রিক্ট টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল৷ বোড়োদের রাজনৈতিক ক্ষমতালাভে অবিশ্বাস দানা বাঁধে অ-বোড়োদের মধ্যে৷ গঠিত হয় অল মাইনরিটি স্টুডেন্টস কাউন্সিল৷ তারপর এই বিদ্বেষ ও সন্দেহ সহিংসতার আকার নেয় ৯০-এর দশকে৷

অসমের এক স্থানীয় সাংবাদিক যিনি পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন ডয়চে ভেলে তিনি বলেন, পুরো ব্যাপারটাই দাঁড়িয়ে আছে ভোটব্যাংক রাজনীতির ওপর৷ সে দিকে তাকিয়েই সরকার সবকিছু জেনেও না জানার ভান করছে এবং করে আসছে৷

কত মানুষ মারা গেল, কত বাড়ি পুড়ে গেল – তার থেকেও বড় কথা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিতটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাচ্ছে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য