আফগানিস্তানে বিজয়োৎসব – DW – 13.09.2013
  1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে বিজয়োৎসব

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩

আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইসহ কয়েক হাজার ফুটবল সমর্থক বৃহস্পতিবার সমবেত হন কাবুল বিমানবন্দরে৷ উদ্দেশ্য, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জাতীয় ফুটবল দলকে স্বাগত জানানো৷ ফুটবলে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে এই দল৷

https://p.dw.com/p/19gby
ছবি: GoalNepal

এ বছর সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এসএএফএফ) শিরোপা জয় করেছে আফগানিস্তান৷ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তাঁরা ২-০ গোলে পরাজিত করে ছয়বার চ্যাম্পিয়ন ভারতকে৷ স্বভাবতই এই জয়ে উচ্ছ্বসিত আফগানরা৷ বিমানবন্দরে হামিদ কারজাই বিজয়ী দলের প্রত্যেক সদস্যকে আলাদাভাবে স্বাগত জানিয়েছেন৷ হাজার হাজার ফুটবল ভক্ত তখন বিমানবন্দরের বাইরে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বাঁশি বাজিয়েছেন৷

এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘বিজয়ী ফুটবল দলের প্রত্যেক সদস্যকে প্রেসিডেন্ট আলাদাভাবে স্বাগত এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ তিনি জাতীয় দলের ধারাবাহিক সাফল্য প্রত্যাশ্যা করেছেন৷''

Fussball SAFF Cup Afghanistan gegen Indien
ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে তাক লাগিয়েছে আফগানিস্তানছবি: GoalNepal

শুধু বিমানবন্দর নয়, কাবুলের জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামেও জড়ো হন অসংখ্য মানুষ৷ সেখানে পৌঁছে জাতীয় দল যখন ট্রফি উঁচিয়ে ধরে, তখন নেচে ওঠে অগুনতি ফুটবল ভক্ত৷ একসময় এই মাঠে তালেবান জঙ্গিরা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতো৷ এখন সেই মাঠে বিজয়ের আনন্দে আফগানরা বলছে ‘‘জিন্দাবাদ আফগানিস্তান৷''

২০ বছর বয়সি আফগান যুবক হারুন নাইমি বুকে আফগান পতাক এঁকে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন৷ তিনি মনে করেন, এই জয় বিশ্বের কাছে এক নতুন বার্তা পৌঁছে দেবে৷ তা হচ্ছে, আফগানিস্তান শুধু যুদ্ধসম্পর্কিত কোনো দেশ নয়৷

ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে হারুন বলেন, ‘‘আমাদের সবার জন্য আজ এক স্মরণীয় দিন৷ আমি এর আগে কখনো এত আনন্দ পাইনি৷ আফগানিস্তান, আমি তোমাকে ভালোবাসি৷''

বলাবাহুল্য, আফগানিস্তানে এখনো তীব্র রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থা বহাল রয়েছে৷ ফুটবল শিরোপা জয়ের আনন্দ মিছিলে তাই নারীদের তেমন একটা দেখা যায়নি৷ শুধু কিছু গাড়িতে পুরো পরিবারসহ ছিলেন কয়েকজন৷

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছে তালেবান৷ সেসময় টেলিভিশন দেখা, গান শোনা এবং অধিকাংশ খেলাধুলা নিষিদ্ধ ছিল৷ ফুটবল অবশ্য নিষিদ্ধের তালিকায় ছিল না৷ তবে ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড কার্যকর করত তালেবান৷ মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী পরবর্তীতে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে৷

এআই/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য