যে নায়ক-নায়িকারা ফ্লপ থেকে হিট

১৯৪৮ সালে উত্তম কুমারের প্রথম সিনেমা ‘দৃষ্টিদান’ মৃক্তি পায়৷ এর আগে ‘মায়াডোর’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করলেও সেটি মুক্তি পায়নি৷ এরপর আরো ৪-৫টি মুভি করেছিলেন যার একটিও ব্যবসাসফল ছিল না৷ ‘ফ্লপ মাস্টার’ খেতাবও জুটেছিল তাঁর ভাগ্যে৷ ১৯৫৩ সালে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমায় উত্তম-সুচিত্রা জুটি তার ক্যারিয়ারে প্রথম সাফল্য যোগ করে৷ এরপর তো ইতিহাস৷ বাঙালির জীবনে এখনো তিনি ‘মহানায়ক উত্তম কুমার’৷

১৯৩৫ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে অভিনয় শুরু৷ প্রথম ছবির নাম ‘ইনকিলাব’৷ এরপর ১২ বছর টানা কাজ করে গেছেন, কিন্তু একটি মুভিও ব্যবসাসফল হয়নি৷ ১৯৪৭ সালে মধুবালার বিপরীতে ‘নীল কমল’ সিনেমা তার ঝুলিতে সাফল্য এনে দেয়৷ এরপর তো ইতিহাস৷ পরিচালক ও অভিনেতা হিসেবে প্রায় সমানভাবেই দাপিয়েছেন বলিউডে৷ জনপ্রিয় হয়েছেন বিশ্বব্যাপী৷

১৯৭০ এ ‘সাত হিন্দুস্থানী’ মুভি দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, যা খুব একটা আলোচনায় আসেনি৷ তবে ১৯৭১ সালে রাজেশ খান্নার সাথে ‘আনন্দ’ মুভি তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট৷ তারপরই ধীরে ধীরে সুপারস্টারে পরিণত হন তিনি৷

১৯৯৪ সালে বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট জেতার পর ১৯৯৭ সালে তামিল সিনেমা ‘ইরুবর’ এবং পরে হিন্দি মুভি ‘অর পেয়ার হো গ্যায়া’ দুটো মুভিই ফ্লপ ছিল৷ পরে ‘জিন্স’ মুভিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়৷ এরপর ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ বক্স অফিসে হিট হলে ঐশ্বরিয়াকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি৷ এরপর বলিউড হয়ে হলিউডেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি৷

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার এই সুপারস্টার অভিনয় জগতে আসার আগে বাস কন্ডাক্টর ছিলেন৷ তারপর অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেছেন এই তারকা৷ ১৯৭৫ সালে তামিল সিনেমা ‘অপূর্ব রঙ্গলাল’ সিনেমায় ছোট একটি ভূমিকায় অভিনয় দিয়ে তাঁর চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভাব৷ ছবিটি ব্যবসাসফল না হলেও রজনীকান্ত সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন৷ এখন পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা তিনি৷

১৯৮৪ সালে মাধুরী অভিনীতি প্রথম সিনেমা ‘অবোধ’ একেবারেই ব্যবসা সফল হয়নি৷ ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ বক্সঅফিসে হিট হলে মাধুরীকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি৷ একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি৷

মার্শাল আর্ট শিক্ষকের ভূমিকায় অভিষেক হওয়া অক্ষয় কুমারের বলিউড যাত্রাটা খুব একটা সুখকর ছিল না৷ ১৯৯১ সালে ‘সৌগন্ধ’, ‘আজ’, ড্যান্সার, অর্থাৎ প্রথম তিনটি ছবিই ফ্লপ হয়৷ তবে ‘খিলাড়ি’ ভাগ্য ফিরিয়ে দেয়৷ এখন তিনি অন্যতম জনপ্রিয় তারকা ৷ একসময় কিন্তু ব্যাংককের একটি রেঁস্তোরায় বাবুর্চি ও বেয়ারা হিসেবে কাজ করতেন অক্ষয়৷

১৯৯৭ সালে রানীর প্রথম সিনেমা ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ মুক্তির পর ব্যবসা সফল না হলেও রানীর অভিনয়ের প্রশংসা হয়েছিল৷ এরপর ১৯৯৮ সালে আমির খানের সঙ্গে ‘গুলাম’ মুভি বক্স অফিসে হিট৷ পরের বছর ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ থেকে শুরু করে ‘মার্দানী’ পর্যন্ত প্রায় সব মুভিতেই নিজেকে অন্য অবস্থানে নিয়ে গেছেন রানী৷

নায়ক হওয়ার আগে কেরানীর পদে চাকরি করতেন প্রয়াত এই বলিউড তারকা৷ বলিউডে ১৯৪৬ সালে ‘হাম এক হ্যায়’ মুভি মুক্তি পায়৷ তখন থেকেই জনপ্রিয় এই তারকা৷

২০০০ সালে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জেতার পর ২০০২ সালে ‘হামরাজ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক৷ সেই মুভি ততটা ব্যবসাসফল না হলেও বর্তমানে বলিউড থেকে হলিউড কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী৷